Advertisement
Advertisement
বৃষ্টি

নিম্নচাপের শক্তিবৃদ্ধিতে দিনভর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, নবান্নে চালু হেল্পলাইন নম্বর

ভারী বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে বাড়ি৷

Met predict heavy rain fall in South Bengal in Sunday

ফাইল ছবি।

Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 18, 2019 9:00 am
  • Updated:August 18, 2019 9:01 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার রাতভর চলার পর শনিবারের একটানা তুমুল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা৷ জলমগ্ন উত্তর থেকে দক্ষিণ৷ জানা গিয়েছে, রবিবারেও এই জলযন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাবে না শহরবাসী৷ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে৷ পশ্চিমাঞ্চল-সহ বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলাগুলিতে হবে অতি ভারী বৃষ্টি৷

[ আরও পড়ুন: আইন ভঙ্গকারীকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব, সচেতনতা ফেরাতে নয়া উদ্যোগ পুলিশের ]

Advertisement

হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগণা, নদিয়া, দুই বর্ধমান, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়৷ আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল তা ধীরে ধীরে নিম্নচাপের রূপ নিতে শুরু করেছে৷ তাই দক্ষিণবঙ্গে এর প্রভাব পড়বে৷ কিন্তু উত্তরবঙ্গে এই নিম্নচাপের তেমন একটা প্রভাব পড়বে না৷ উত্তরের জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টি হতে পারে৷ বর্ষার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে জলমগ্ন কলকাতা৷ উত্তর থেকে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে৷ দুর্যোগ ঠেকাতে ইতিমধ্যে হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩)২২৫৩-৫১৮৫ চালু করেছে নবান্ন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় জারি হয়েছে সতর্কতা৷ দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো এলাকা থেকে পর্যটকদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে৷ প্রবল বৃষ্টিতে বেলদায় ধসে পড়ল একটি বাড়ির দেওয়াল৷ টিটাগড়ে ধস নেমেছে রাস্তায়৷

[ আরও পড়ুন: প্যারা টিচারদের আন্দোলনে রণক্ষেত্র কল্যাণী, পুলিশের লাঠিচার্জে জখম সাংবাদিকও ]

শনিবার শহরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম৷ তিনি বলেন, “নিচু এলাকাগুলিতেই জল জমেছিল। ভারী বৃষ্টিপাতই তার জন্য দায়ী। সব পাম্প একসঙ্গে কাজ করছে। বিকেলের মধ্যেই সর্বত্র জল নেমে যাবে।” নিউটাউন, সল্টলেকে রাস্তায় নেমেছিলেন বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সর্বত্র নজর ছিল নবান্নেরও। এই জল যন্ত্রণার প্রভাব পড়েছে যান চলাচলে। রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম ছিল। অটো-টোটো সংখ্যায় কম হাতে গোনা। কোথাও কোথাও সুযোগ বুঝে চড়া দর হেঁকেছে অ্যাপ ক্যাবগুলি। হাওড়া শাখায় একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে। দৃশ্যমানতার অভাবে সকালের বিমানও উড়েছে দেরিতে। শিয়ালদহ ফ্লাইওভার বন্ধ থাকায় চাপও ছিল ট্রাফিকের উপর।

[ আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে রেশনের পন্য নিয়ে যায় মাওবাদীরা, উদ্বিগ্ন প্রশাসন ]

জানা গিয়েছে, গত একদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়৷ পরিমাণ প্রায়  ১৭৬ সেন্টিমিটার। স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ১৬০০ শতাংশ বেশি। সকালেই শুধু বৃষ্টি হয়েছে ৫০ সেন্টিমিটার। গোটা দক্ষিণবঙ্গের গড় হিসাব ধরলে ৪২ সেন্টিমিটার। স্বাভাবিকের থেকে ৪৭০ শতাংশ বেশি। এতদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৫০ শতাংশ। টানা এই বৃষ্টিপাতের জেরে সেই ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ শতাংশে। রবিবার একই অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পরে পশ্চিমের দিকে ঘূর্ণাবর্ত সরে যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement