ছবি: প্রতীকী
নব্যেন্দু হাজরা: কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর রবিবার সকালে মেঘে ঢাকল গোটা রাজ্য। ভোর থেকেই উপকূলীয় জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। হাওয়া অফিসের (Regional Meteorological Centre, Alipore) তথ্য বলছে, দু-একঘণ্টার মধ্যে মুষলধারায় বৃষ্টি নামবে কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও বর্ধমানে। ক্রমশ বাড়বে বৃষ্টির তীব্রতা। পাশাপাশি, উত্তরের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হবে বলেই জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বাংলায় প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। পরবর্তীতে যা সরে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান ও ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করবে। যার জেরে রবি, সোম ও মঙ্গলবার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হবে দুই বঙ্গেই। সেই কারণে বেশ কিছু জেলায় হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। সমুদ্র উত্তাল হতে পারে এই আশঙ্কা করে ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যারা সমু্দ্রে ছিলেন ২০ তারিখের মধ্যে তাঁদের ফিরে আসার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। আবহওয়াদপ্তরের সেই পূর্বাভাস মতোই রবিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে একাধিক জেলায়। হাওয়া অফিস বলছে, সোমবারও প্রবল বৃষ্টি হবে বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রামে।
এই তিনদিন অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি কোচবিহারে ও কালিম্পংয়ে। ফলে নদীর জলের মাত্রা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে সকলকে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। টানা বৃষ্টির জেরে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে ভূমিধসহতে পারে বলেও মনে করছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। উল্লেখ্য, রবিবারের কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি। শনিবার সন্ধেয় তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৩ ডিগ্রি। বাতাসের সর্বনিম্ন আর্দ্রতার পরিমান ৬১ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ৯৪ শতাংশ। প্রসঙ্গত, এই দুর্যোগর কারণে পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছে CESC। গ্রাহকদের সুবিধার্থে হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.