সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরশুমের শুরু থেকেই প্রায় ছক্কা হাঁকাচ্ছে শীত। পৌষের পয়লা দিনেই হাড় কাঁপিয়ে ছেড়েছে উত্তুরে হাওয়া। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে হু হু করে, একধাক্কায় প্রায় তিন ডিগ্রি। স্বাভাবিকের চেয়ে যা কম। আর শুরু থেকেই শীত উপভোগ করতে পেরে রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফুটেছে। শুক্রবারও শীত একইভাবে ব্যাটিং চালাবে বলে পূর্বাভাস। আজও বিভিন্ন জেলায় জারি থাকবে শৈত্যপ্রবাহ। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তাপমাত্রাও থাকবে স্বাভাবিকের বেশ খানিকটা নিচে।
এদিন কলকাতার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকলেও, পশ্চিমের জেলাগুলিতে তা ছিল ১০ ডিগ্রির কম। অর্থাৎ শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি ছিল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোলে। সঙ্গে ছিল ঘন কুয়াশার দাপট। আর শুক্রবার সকাল থেকেও একই ছবি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, এসব জেলায় তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকবে। মোটা ১১টি জেলায় জারি থাকবে শৈত্যপ্রবাহ। হাড়হিম করা ঠান্ডার প্রভাব কাটাতে আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন জেলাবাসী।
আজ দিনের শুরু থেকে কনকনে হাওয়ায় শীতবোধ বেশ অনুভব করছেন কলকাতাবাসী। এখানেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ খানিকটা কম বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর। এই দিনটিকেই মরশুমের ‘শীতলতম দিন’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। দিন কয়েক আগে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হওয়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে একেবারে কেটে যাওয়ার ফলে উত্তরে হাওয়া সরাসরি ঢুকছে রাজ্যে। আর তাতেই পৌষের শুরু থেকেই শীতের এই দাপট।
ইতিহাস ঘেঁটে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, ২০১২ সালে ডিসেম্বরের শেষবেলায় এমন হাড়কাঁপানো ঠান্ডা পড়ছিল। তাপমাত্রা নেমেছিল ১০ ডিগ্রিতে। কিন্তু তারপর থেকে আর সই রেকর্ড তেমন চোখে পড়েনি। গত বছর অবশ্য একটি দিন ১০ ডিগ্রির নিচে নামে। কিন্তু চলতি বছর সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ডিসেম্বরের বাকি সময়টুকু শীত লম্বা ইনিংস খেলবে বলেই পূর্বাভাস আলিপুর হাওয়া অফিসের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.