Advertisement
Advertisement

একটানা স্বাভাবিকের নিচে পারদ, জানুয়ারিতেও রেকর্ডের পথে শীত

ঠান্ডার কামড়ে কার্যত জবুথবু আট থেকে আশি।

Mercury below average temperature
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 5, 2019 9:23 am
  • Updated:January 5, 2019 9:23 am  

রিংকি দাস ভট্টাচার্য: ডিসেম্বরের শেষে সেই যে মেজাজ চড়িয়েছে, এখনও চড়েই আছে। শীতবুড়োর এমন নিরবচ্ছিন্ন দৃপ্ত মেজাজ বহু বছর দেখেনি দক্ষিণবঙ্গ। টানা সতেরোদিন কলকাতা-সহ তামাম গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে স্বাভাবিকের নিচে। শীতের শহর শেষ কবে এমনটি দেখেছে, তা মনে করা যাচ্ছে না। দশকের রেকর্ড ভেঙে শীতলতম তকমা ইতিমধ্যেই লেগে গিয়েছে ডিসেম্বরের গায়ে। এবং ঠান্ডার ম্যাচে জানুয়ারিও শুরু করেছে ছক্কা হাঁকিয়ে। শুক্রবার আলিপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বৃহস্পতিবারের চেয়ে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দাঁড়ায় ১১.৯ ডিগ্রি৷ যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী ৭২ ঘণ্টা পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হবে না, শীতের ‘পাওয়ার প্লে’ অব্যাহত থাকবে।

[অবশেষে খোঁজ মিলল শচীনের, গভীর জঙ্গল থেকে নিজেই ফিরল খাঁচায়]

সব মিলিয়ে ২০১৮-র ২০ ডিসেম্বর থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে পারদ পতনের যে পালা শুরু হয়েছে, জানুয়ারিতে তা বহাল। কফি হাউস থেকে সেক্টর ফাইভ, সর্বত্র শীতের স্থায়িত্ব নিয়ে চর্চা চলছে। “এমন ঠান্ডা জীবদ্দশায় দেখিনি।”-পাড়ার চায়ের দোকানে বসে অনুভূতি এক তরুণের। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, মহানগরে শীতের এহেন উত্তুঙ্গ দাপট শেষ দেখা গিয়েছিল ১৪ বছর আগে ২০০৪ সালে। ওই বছর ২ থেকে ১০ জানুয়ারি ৮ দিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কার্যত ১২ ডিগ্রির নিচে ঘোরাফেরা করেছিল। শুধু ৮ জানুয়ারি একদিনের জন্য উঠেছিল ১২ ডিগ্রির উপরে। আর তার আগের বছর ২০০৬ সালে টানা ১১ দিন ১২ ডিগ্রির নিচে ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি।

Advertisement

[স্টেশনের ফুটব্রিজে ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ছবি, বিতর্ক তুঙ্গে]

এই দু’বছর হাড়হিম হয়েছিল বঙ্গবাসীর। এবারও হচ্ছে। এবার কতদিন হবে, তা এখনও অজানা। উত্তরবঙ্গ থেকে দ‌ক্ষিণবঙ্গ, সর্বত্র একই অবস্থা। ঠান্ডার কামড়ে কার্যত জবুথবু আট থেকে আশি। পরিস্হিতি যা তাতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে শীতের ‘পাওয়ার প্লে’ চলবে! তবে সোমবার রান ওঠার গতি সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে থাকবে। শুধু ৭-৮ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার পুবালি হাওয়ার দাপট বেড়ে যাওয়ায় মহানগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের উপরে ওঠার সম্ভাবনা। তবে তারপরই ফের পারদ নামবে।” জানান কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

[ছাদ হারিয়ে প্রাণনাশের আশঙ্কায় প্রশাসনের দ্বারস্থ অশীতিপর বৃদ্ধ]

উত্তরবঙ্গ থেকে দ‌ক্ষিণবঙ্গ, সর্বত্র একই অবস্থা। ঠান্ডার কামড়ে কার্যত জবুথবু আট থেকে আশি। উত্তুরে হাওয়ার দাপট সামান্য কমলেও শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলার পারদ দশের নিচে ছিল। হাওয়া অফিসের খবর, এদিন দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। বারাকপুর ৯ ডিগ্রি। পানাগড়ে রাতের পারদ থিতু হয়েছে ৭.৯ ডিগ্রিতে, শ্রীনিকেতনে রাতের তাপমাত্রা নেমেছিল ৮.৪ ডিগ্রিতে। কনকনে ঠান্ডা উত্তরবঙ্গেও। শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৮ ডিগ্রি। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে রাতের পারদ নেমেছিল যথাক্রমে ৬.১ এবং ৭.২ ডিগ্রিতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement