শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: শিশুমেলার রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়ে চরমে ঘাটালে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! তারকা সাংসদ দেবের সামনেই প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দলুইয়ের সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন তাঁর অনুগামীরা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রক্তাক্ত হন কমপক্ষে ১৫ জন। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ। তুমুল বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক পর্যায়ে মিটিং না করেই মাঠ ছাড়েন দেব। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা বিষয়টা জানিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ।
প্রতিবছরই ঘাটালে শিশুমেলার আয়োজন করা হয়। এবার ৩৭ তম বর্ষ। জানা গিয়েছে, গত বছর মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক শংকর দলুই। ঘাটালের সাংসদ দেবের অনুগামীরা চেয়েছিলেন এবার মেলার রাশ থাকুক দেবের হাতে। কিন্তু ঘটনাচক্রে গত ২০ নভেম্বর মেলা কমিটি তৈরির জন্য মিটিং ডাকেন শংকর দলুই। দেব সেই বৈঠকে যোগ দেননি। তা সত্ত্বেও ফের নিজেকে সম্পাদক পদে রেখে কমিটি গঠন করেন শংকর। যা মোটেই ভালোভাবে নেননি দেব। পরবর্তী নতুন কমিটি গঠনের জন্য আজ অর্থাৎ ২৪ তারিখ আবার মিটিং ডাকেন দেব। এদিকে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বুঝে ময়দানে নামেন তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। রবিবার সকালে কোলাঘাটে শংকর দলুই, দেব ও দুজনের অনুগামীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি।
সেখানে আলোচনা শেষে দেব ঘাটালে বৈঠকস্থলে পৌঁছন দেব। এর পরই ধুন্ধমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, শংকর দলুইয়ের কয়েক হাজার অনুগামী দেবের অনুগামীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। দুজনের সমর্থকদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। কারও মাথা ফাটে। আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশি তড়িঘড়ি দেবকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি সাংসদ কার্যালয়ে যান। এদিকে গোটা বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান তিনি। দেবের কথায়, “আমি এটা চাইনি। আমার সামনে এসব দুর্ভাগ্যজনক। আমি ঝামেলা মেটানোর জন্যই এসেছিলেন। কিন্তু এখানে যা হল…। গোটা বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি।” এদিকে শংকর দুলই বলেন, “সকালেই আমাদের ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। তাতে কমিটিতে যোগ-বিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার মাঝে কোথা থেকে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.