সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের গুজবে কোপ পড়েছে মুরগির মাংসে। বিপদের আশঙ্কায় অনেকেই হেঁশেলের সামনে মুরগির মাংসের জন্য ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলিয়েছেন। তার ফলে ব্যবসায় ভাঁটা। সকাল থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দোকান খুলে রাখলেও হচ্ছে না বিক্রিবাটা। দাম কমিয়ে দিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসা ফেরাতে মুরগির মাংসের সঙ্গে বিনামূল্যে পিঁয়াজ দিচ্ছেন বিক্রেতারা। কিন্তু সেভাবেও মাংসের দোকান থেকে মুখ ফেরানো ক্রেতাদের আশ্বস্ত করতে পারছেন না দোকানিরা। ক্রমশই কমছে বিক্রিবাটা।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিনে প্রাণহানি হয়েছে অন্তত সাড়ে তিন হাজার জনের। মারণ চিনা ভাইরাস এবার থাবা বসিয়েছে ভারতেও। ক্রমশই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এই মারণ ভাইরাস? কীভাবেই বা রোখা সম্ভব ভাইরাসকে? তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। রটছে নানা গুজব। অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন মুরগির মাংস খেলেও নাকি অনায়াসেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে করোনা। তাই ভয়ে মাংসের দোকানমুখো হচ্ছেন না অনেকেই। ফলস্বরূপ বিক্রিবাটাতে ভাঁটা। বেশ কয়েকদিন আগে দেখা গিয়েছিল কলকাতার দোকানগুলিতে মাংস বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ছবি। যার ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। এবার জেলার বাজারগুলিতেও পড়ল করোনার গুজবের প্রভাব। হু হু করে কমছে মুরগির মাংসের দাম। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলির ছবি প্রায় একইরকম। ব্যবসায়ীদের দাবি, এক সপ্তাহে কমপক্ষে ৫০-৬০ টাকা দাম কমেছে মুরগির মাংসের।
সোদপুরের সুখচর বাজারে প্রায় বেশিরভাগ বিক্রেতাই দোকানের সামনে লাল কালিতে লেখা রেট চার্ট টাঙিয়ে দিয়েছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, গোটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায় এবং কাটা মাংস বিকোচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও ক্রেতাদের মন ফেরাতে মাংসের সঙ্গে ২৫০ গ্রাম পিঁয়াজ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে তাতেও মন ভুলছে না ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীদের দাবি, একটু লাভ হবে ভেবে কিছু ক্রেতা আসছেন ঠিকই। তবে তা খুবই কম। সিংহভাগ ক্রেতাই করোনার আতঙ্কে মাংসের দোকানের ধারেও আসছেন না। তার ফলে লোকসান হচ্ছে প্রচুর টাকা। এভাবে চলতে থাকলে, ব্যবসা করা সম্ভব হবে না বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.