বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: দোলের আগে এক বিদেশিনী-সহ দুই ভক্তের দেহ উদ্ধার। নদীর পাড় থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়। নদিয়ার মায়াপুরে (Mayapur) ব্যাপক চাঞ্চল্য। নদীতে ডুবে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। মায়াপুর পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিকরা দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় পুলিশ আধিকারিকরা।
নিহতেরা হলেন বছর একুশের বিশ্বরূপ দাস এবং লীলা অবতার দাস নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক বিদেশিনী। তাঁরা দু’জনেই মায়াপুর ইসকনের ভক্ত। বুধবার সন্ধেয় সান্ধ্য ভ্রমণে গিয়েছিলেন তিনি। সম্ভবত সেই সময়ে নৌকা থেকে নদীতে একজন পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও একজন তলিয়ে যায়। তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় মায়াপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ নদীর ধারে এক যুবকের দেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়। ঘণ্টাখানেক পর ওই বিদেশিনীর দেহও ভেসে ওঠে। স্থানীয়দের নজরে পড়ে দু’টি দেহই। তারপর ওই দু’জনকে উদ্ধার করে মায়াপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে জানান। তীর্থপদ দাস নামে ইসকনের (ISKCON) এক ভক্ত জানান, “আমি মন্দির থেকে সাড়ে ৮টা নাগাদ নদীর ধারে আসি। দেখি নদীর পাশে যুবকের দেহ পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর বিদেশিনীর দেহ উদ্ধার হয়। মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথির আগে এই ঘটনায় মনখারাপ হয়ে যায়।”
বৃহস্পতিবার সকালে মায়াপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য নবদ্বীপ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক ও যুবতী দু’জনে সান্ধ্যকালীন ভ্রমণে বেরিয়ে গঙ্গায় তলিয়ে যান। মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.