বাবুল হক, মালদহ: নতুন বছরের পয়লা দিনেই মালদহে (Maldah) নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত। প্রয়াত বরকত গনিখান চৌধুরীর কোতোয়ালির ভিটে থেকেই তার আভাস মিলল। তৃণমূল ছেড়ে কি কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন মৌসম বেনজির নুর (Mausam Noor)? পুরনো দলে ফিরবেন তাঁর সুইজারল্যান্ড ফেরত মামা লেবু ওরফে আবু নাসের খান চৌধুরীও? শনিবার মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা মালদহ দক্ষিণের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) এমনই দাবি করেছেন।
শনিবার কালিয়াচকের এক অনুষ্ঠানে আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “বাংলার রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রতীক মালদহের কোতোয়ালি ভবন। যেটা বরকত গনিখান চৌধুরীর বাড়ি। এখান থেকে যাঁরা কংগ্রেস (Congress) ছেড়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছেন, তাঁরা আবার কংগ্রেসে ফিরে আসবেন। সেটা নিয়ে পরিবারের মধ্যে আলোচনা চলছে। লেবুদা বিদেশে ছিলেন, ফিরে এসে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছেন। পরে মৌসম তৃণমূলে গিয়েছেন। একটা আলোচনা চলছে। মালদহ কংগ্রেসের রাশ আবার কোতোয়ালির হাতে থাকবে। সেই লক্ষ্যে আমরা এগোচ্ছি।”
এই দাবির প্রেক্ষিতে মালদহের রাজনীতি তো বটেই, রাজ্য-রাজনীতিতেও শনিবার কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও গনির ভাগনি তথা রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর বলেন, “এই বিষয়ে আমার সঙ্গে কারও আলোচনা হয়নি। আমার কিছু জানা নেই।” এদিন কালিয়াচকের জালালপুরে কংগ্রেসের উদ্যোগে নববর্ষ পালন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী, কালিয়াচকের কংগ্রেস সভাপতি মতিউর রহমান, জালালপুরের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা খেজামুদ্দিন আহমেদ।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, জেলার প্রত্যেকটি অঞ্চল কমিটিকে নববর্ষের ক্যালেন্ডার তৈরি করে তা বাড়ি বাড়ি বিতরণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একদা মালদহের রাজনীতির রাশ ছিল কোতোয়ালির গনি পরিবারের হাতেই। পরে বরকত গনিখান চৌধুরির মৃত্যুর পর সমীকরণ বদলে যায়। লেবু, শেহনাজ, মৌসমরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। দু’ভাগ হয়ে যায় কোতোয়ালি। একদিকে কংগ্রেসের পতাকা, অন্যদিকে তৃণমূলের পতাকা। বদলে যায় গনির প্রাসাদের রংও। মৌসম নুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন, আপাতত সেই পদ নেই। তারপর থেকে মৌসমকে দলের কর্মসূচিতে সেভাবে দেখা যায় না। এবার কি তিনি ফের পুরনো শিবিরে ফিরছেন? সেই ইঙ্গিত দিলেন পরিবারের বর্ষীয়ান সদস্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.