নিজস্ব চিত্র
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ইংরেজি বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ চুরি। শুধু চুরিই নয়, রীতিমতো রান্নাবান্না করে খাওয়াদাওয়াও করেছে দুষ্কৃতী দল! বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর উত্তরপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি মালিক পেশায় রেল কর্মী মৃত্যুঞ্জয় দাস বাড়ি এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারির তালা ভেঙে সর্বস্ব লুট হয়ে গিয়েছে। সারা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর দাবি, প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি সোনার গয়না চুরি গিয়েছে। তাঁর স্ত্রীর স্কুটিও নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে আরও অবাক করা কাণ্ড, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে বাড়ি মালিক দেখেন থানাতেই দাঁড় করানো রয়েছে তাঁর স্কুটিটি। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে গাড়িটি আটক করা হয়েছে।
মৃত্যুঞ্জয়বাবু বর্ধমানেই রেলে চাকরি করেন। বুধবার দুপুরে সপরিবারে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। বড় নীলপুরের বাড়ি তালা দেওয়া ছিল। এদিন সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে ডিউটিতে চলে যান তিনি। কিন্তু দুপুরে ফিরে দেখেন তালা ভাঙা রয়েছে। ভিতরে ঢুকে দেন নতুন স্কুটিটা নেই। একতলা ও দোতলার ঘরে সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। আলমারি ভাঙা। নগদ, সোনাদানা সব চুরি গিয়েছে। তিনি আরও জানান, চোরেরা রান্নাঘরেও ঢুকেছিল। ফ্রিজে থাকা ১০টি ডিমও উধাও। গ্যাসের ওভেনে কড়াই চাপানো রয়েছে। বুঝতে পারেন দীর্ঘসময় ধরে রান্নাবান্না করে খাওয়াদাওয়াও করেছে চোরেরা।
বাড়ির মালিক ও তাঁর পরিজনদের অনুমান, পরিচিত কেউ করেছে বা করিয়েছে। রাতে বাড়িতে কেউ নেই, এই খবর পরিচিতই কেউ দিয়েছে নিশ্চয়ই। মৃত্যুঞ্জয়বাবুর শ্যালক রাজু দাস বলেন, “থানায় আমরা অভিযোগ জানাতে এসে দেখি জামাইবাবুদের স্কুটিটি রাখা রয়েছে। আমরা পুলিশকে জানাই বিষয়টা। পুলিশ আমাদের জানায় রাতে টহলদারি পুলিশ সেটি আটক করেছে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে পুরো ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.