ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) রবীন্দ্রভবনের পিছনে বাটারফ্লাই গার্ডেনে আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যগুলি কলাভবনের অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের তৈরি। জঙ্গলের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তেই ডাকা হয় দমকল বাহিনী।পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রভবনের পিছনের এলাকা দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গলে ঢাকা ছিল। বাইরে থাকে আসা নেশারুরা ওখানে নেশা করত। ২০১৪ সালে সুশান্ত দত্তগুপ্ত উপাচার্য থাকার সময় রবীন্দ্রভবনের পিছনে জঙ্গল কেটে বাটারফ্লাই গার্ডেন (Butterfly Garden) তৈরি করা হয়। তার পাশপাশি তৈরি করা হয় অর্কিড গার্ডেন এবং এনভায়রনমেন্টাল স্কাল্পচার পার্ক। কলাভবনের উদ্যোগে এই গার্ডেনগুলি তৈরি করা হয়। ১২জন অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রী এই ভাস্কর্যগুলি তৈরি করেন। প্রকৃতির মধ্যে সুন্দরভাবে সাজানো ছিল ভাস্কর্যগুলি। এই গুলি তৈরি করা হয়েছিল মাটি, কাঁকড়, ইট ও সিমেন্ট দিয়ে। বাটারফ্লাই জঙ্গলটি তৈরি করা হয়েছিল মাটির হাঁড়ি দিয়ে। জঙ্গলের গাছে গাছে লাগানো হয়েছিল অর্কিড। গার্ডেন তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা। প্রাক্তনীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
এই গার্ডেনে যাতে পর্যটকেরা (Tourist) আসেন, সে কারণে বাটারফ্লাই গার্ডেনে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করা হয়। বেশ কয়েক বছর পর্যটকরা ভিড়ও জমান ওই গার্ডেনে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই গার্ডেন রক্ষণাবেক্ষণে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। তার ফলে পুরো গার্ডেন জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছিল। রবিবার দুপুরে কোনভাবে ওই বাটারফ্লাই গার্ডেনে আগুন লেগে যায়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। গার্ডেনে থাকা একাধিক ভাস্কর্য আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে প্রাক্তনী অর্ণব মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাটারফ্লাই গার্ডেনটি খুব সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছিল। লালবাঁধের ধারে এই গার্ডেনের সৌন্দর্য ছিল আলাদা। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি। এবার তা আগুনে পুড়ে গেল।” এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার কিছু বলতে অস্বীকার করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.