Advertisement
Advertisement
আগুন

হাতি তাড়াতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ড, অল্পের জন্য রক্ষা গজলডোবার ‘ভোরের আলো’ পর্যটন কেন্দ্রের

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Massive fire broke out in the near of Gajaldoba's 'vorer alo' tourist spot

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 26, 2019 7:10 pm
  • Updated:November 26, 2019 7:10 pm  

শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: পটকা ফাটিয়ে হাতি তাড়াতে গিয়ে অগ্নিকাণ্ড। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প গজলডোবার ‘ভোরের আলো’ পর্যটন কেন্দ্র। প্রথমে স্থানীয় এবং পরে দমকল কর্মীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এদিন রাতে বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের থেকে একটি দাঁতাল ‘ভোরের আলো’তে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ তিস্তা পারে থাকার পর দাঁতালটি তিস্তা বাঁধ ধরে সোজা মূল পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে পড়ে। এখানে পর্যটকদের জন্য মেগা হাবের আশেপাশে বনদপ্তরের তরফে প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। হাতি ঢুকে পরার খবর পৌঁছে যায় প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে। এরপরই বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট ডিভিশনের বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শুরু হয় হাতিকে জঙ্গলে ফেরানোর কাজ। সাধারণত হাতিকে তাড়াতে সার্চ লাইট, উজ্জ্বল আলো বা পটকা ফাটানো হয়। এই ক্ষেত্রেও পটকা ফাটিয়ে হাতিটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছিল। সেসময় হাবের ভিতর জঙ্গলে পটকা ফেলতেই আগুন লেগে যায়। আগুন না নেভাতে না পারায় বিপাকে পরেন বনকর্মীরা। হাতি তাড়ানোর পরিবর্তে শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। পাশেই নদী ও পুকুর থাকায় সেখান থেকে জল নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। অন্যদিকে, আগুন দেখে ততক্ষণে দাঁতালটি নিজেই জঙ্গলে ফিরে যায়। এরপর দমকল পৌঁছে ঘটনাস্থলে জল ছিটিয়ে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

শিলিগুড়ির ডিভিশনাল দমকল আধিকারিক আশিষ পুতাটুন্ডা বলেন, “শুকনো জঙ্গলে ছোট আগুন লেগেছিল। দমকল পৌঁছনোর আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। পরে দমকলকর্মীরা সম্পূর্ণভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন।” রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “পটকা ফাটিয়ে হাতি তাড়াতে গিয়ে একটি ছোট আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তা স্থানীয়রাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে।”

[আরও পড়ুন: কোনও চাকরিই স্থায়ী নয়, শীতকালীন অধিবেশনে বিল আনছে কেন্দ্র]

ঘটনাস্থল থেকে সামান্য দূরত্বে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো। অল্পের জন্য রক্ষা পায় বাংলোটি। ঘটনায় বনকর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রশাসনিক ও পুলিশ আধিকারিকরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement