Advertisement
Advertisement
বারুইপুর কাছারি বাজার

মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বারুইপুর কাছারি বাজারে, ভস্মীভূত শতাধিক দোকান

প্রোমোটারচক্রের হাত আছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

Massive Fire breaks out at Baruipur Kachari Bazar
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 4, 2020 9:18 am
  • Updated:August 4, 2020 9:18 am  

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দক্ষিণ ২৪ পরগনার অন্যতম বৃহত্তম বাজারে। বারুইপুর কাছারি বাজারে সোমবার গভীর রাতে আগুন লাগে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। তবে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না প্রোমোটার চক্রের গভীর রহস্যও! ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি।

এলাকার মানুষ ওই বাজারের কাপড় পট্টি থেকে প্রথমে ধোয়া ও আগুন দেখতে পান, মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা পুরো বাজার ছড়িয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় দমকল দপ্তরে, কিন্তু দমকল আসতে দেরি হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন।

Advertisement

প্রায় ১ ঘণ্টা পরে প্রথমে বারুইপুর থেকে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন, এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের আরো ছয়টি ইঞ্জিন। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে নামলেও জল সংকটে তাদের কাজ ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, বাজার এলাকা ঘন জনবসতিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে কোনও শ্যালো পাম্পের ব্যবস্থা না থাকায় জলের জন্য দমকল কর্মীরা দুশ্চিন্তায় পড়ে। অবশেষে বারুইপুর থানার শ্যালো পাম্প থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। স্থানীয় কাউন্সিলর গৌতম দাসের তৎপরতায় কলকাতা থেকে জল নিয়ে আরও একটি ইঞ্জিন আসে। তবে ততক্ষণে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগে যায়।

fire-baruipur1

 

[আরও পড়ুন: সীতাকুন্ড থেকে অযোধ্যা যাচ্ছে পবিত্র মাটি, রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় সাজবে পুরুলিয়া]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, রাত ২টো নাগাদ আগুন দেখতে পায় এলাকার মানুষ। ভীষণ তৎপরতার সঙ্গেই এলাকার মানুষ আগুন নেভানোর চেষ্টায় ময়দানে নামলেও আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচানো যায়নি শতাধিক দোকানকে। তাদের চোখের সামনেই একশটিরও বেশি দোকান পুরে ছাই হয়ে যায়।

প্রাথমিক তদন্তে দমকলকর্মীদের অনুমান, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। তবে এই ঘটনায় কাছারি বাজারে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি ভষ্মীভূত হয়েছে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। রাত ২টো থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত দমকলের আটটি ইঞ্জিন ক্রমাগত কাজ করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, রাত সাড়ে বারোটা থেকে এলাকায় লোডশেডিং ছিল। তাই শর্ট সার্কিটে আগুন লাগার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এর নেপথ্যে প্রোমোটর চক্রের গভীর রহস্য রয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

[আরও পড়ুন: সংক্রমণ বাড়লেও স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ী প্রায় ২১০০]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement