সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত প্লাস্টিক কারখানা। সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানার ফলতা বাণিজ্য কেন্দ্রের ২ নম্বর সেক্টরে একটি প্লাস্টিকের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। আগুনে কোনও হতাহতের খবর না থাকলেও বিধ্বংসী ওই আগুন গ্রাস করেছে কারখানা বেশিরভাগ অংশই। দমকলের মোট ১০টি ইঞ্জিন রাত থেকেই আগুন নেভানোর কাজে করছে।
সোমবার রাত একটা নাগাদ ফলতা-২ নম্বর সেক্টরের প্লাস্টিকের দানা তৈরির ওই কারখানায় হঠাৎই আগুন লাগে। আগুন বিধ্বংসী আকার ধারণ করলে তা নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে এক কিলোমিটার দূর থেকেও আগুনের শিখা লক্ষ্য করা যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসতে থাকে একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন।
প্রথমে ডায়মন্ডহারবার ও ফলতা থেকে চারটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় পরে আরও ছ’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ আগুন অনেকটাই আয়ত্তে আসে। তবে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। দমকল সূত্রে খবর, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কারখানায় শর্ট-সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা এবং কারখানার কর্মীরা আগুন লাগার পিছনে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন।
ডায়মন্ড হারবার দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও ফলতা বাণিজ্য কেন্দ্রের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা অরুময় গায়েন জানান, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ কারখানাটি এখন প্রায় বন্ধের মুখে। কারখানায় দফায় দফায় অনেক শ্রমিক ছাঁটাইও করেছে কর্তৃপক্ষ। মাঝেমধ্যেই কারখানা থেকে দামি যন্ত্রাংশ কর্তৃপক্ষ সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। রহস্যের গন্ধ উসকে ওই শ্রমিক নেতার মতে, সোমবারই কর্তৃপক্ষ কারখানার হালহকিকত নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকে বসেছিল। আর আগুন লাগল গভীর রাতে। তাই আগুন লাগার পিছনে চক্রান্ত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে তিনি জানান। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.