রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ভূপতিনগরের পর এবার এগরা। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মঙ্গলবার দুপুরে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্য়ুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করতেই তাদের ঘিরে ধরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তায় ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে কয়েকটি দেহ। জখম হয়েছে আরও কয়েকজন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। সূত্রের খবর, বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে এগরা থানার পুলিশ।
দুপুর বারোটা। রোজকার মতোই জীবনযাত্রা চলছিল এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহারা খাদিকুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আচমকাই কান ফাটানো আওয়াজ কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ছিল বাজি কারখানা থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে দেহ। অসমর্থিত সূত্রে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কারখানাটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের জেরে একাধিক বাড়িতে আগুন ধরে যায়।
অভিযোগ, অবৈধভাবেই বাজি প্রস্তুত হচ্ছিল কৃষ্ণপদ বাগের কারখানায়। বাজি তৈরির বিপুল মশলা মজুত থাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। যেহেতু সামনেই পঞ্চায়েত ভোট সেই কারণে প্রশ্ন উঠেছে, এটি অবৈধ বাজি তৈরির কারখানা না কি বৈধ কারখানা না কি বাজি কারখানার আড়ালেই চলছিল বোমা বাঁধার কাজ, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি. বাজি কারখানা ছিল বলেই খবর পেয়েছি। পুলিশ আগেই তল্লাশি করে বন্ধ করেছিল। তারপরও লুকিয়ে চলছিল। কতজন মারা গিয়েছেন এখনই বলতে পারব না। খুবই খারাপ লাগছে। প্রশাসনকে বলব কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে। আমি বিধায়ক হওয়ার পর এই প্রথম এই ঘটনা। আমি আগেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। পুলিশও টহলদারি করেছে। কিন্তু গোপনে হয়তো চলছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.