জ্যোতি চক্রবর্তী ও শাহজাদ হোসেন: প্রশাসনের নির্দেশে সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে খুলে গিয়েছে মদের দোকান। কিন্তু সরকারের নির্দেশ মানলেন না অধিকাংশ সুরাপ্রেমীই। রেড জোন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ট বাজার এলাকায় মাস্ক পরা তো দূর অস্ত, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই দোকানের সামনে জড়ো হলেন কয়েক হাজার মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষমেশ ময়দানে নামতে হয় পুলিশকে। লাঠি হাতে তাঁদের ছুটতে হল সুরপ্রেমীদের পিছনে। জানা গিয়েছে, এত কিছু সত্ত্বেও ভিড় এড়ানোর ব্যবস্থা করা তো দূর, টাকা গুনতেই ব্যস্ত ছিলেন দোকান মালিক।
আশঙ্কা সত্যি করে এদিন সকালে মদের দোকান খোলার আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দোকান গুলোর সামনে ভিড় জমান সুরপ্রেমীর দল। কোথাও কোথাও যেমন নিয়ম মেনে মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে সকলকে দাঁড়াতে দেখা যায়, তেমনিই উলটো ছবিও নজরে পড়ে বনগাঁ-সহ বিভিন্ন জায়গায়। এতেই করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা এক ধাক্কায় কয়েকগুণ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। এদিনের বনগাঁর ঘটনায় দোকান মালিকের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন সকলে। অশান্তি তৈরি হতে পারে, তা জানা সত্ত্বেও কেন মালিক কোনও অগ্রিম ব্যবস্থা নিলেন না, সেই প্রশ্নই তোলেন সকলে। এদিন ট বাজারে এসেছিলেননি বনগাঁর পিন্টু বিশ্বাস। তিনি বলেন,”যেভাবে সামাজিক দূরত্ব না মেনে মদের দোকানে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ ভিড় করেছে, আমরা আতঙ্কিত।” বাজারে আসা এক ব্যক্তির কথায়, “যাদের দেখেছি ত্রাণের লাইনে, রেশনের লাইনে ভিড় করতে তাদের অনেককেই দেখছি মদ কিনতে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন!” কেউ আবার মন্তব্য করলেন যে, অষ্টমী সন্ধের ভিড়ও আজকের কাছে নিতান্তই সামান্য। তবে বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটার পাশাপাশি অশোকনগরের ছবিটাও কার্যত এক। কোনও নিয়মের বালাই না করেই সকাল থেকে মদের দোকানের সামনে মানুষের ঢল। মোটের উপর কেউই এক বোতলে থামলেন না, রীতিমতো ব্যাগ ভরে ফিরলেন ঘরে!
তবে অরেঞ্জ জোন মুর্শিদাবাদে মদের দোকানের বাইরে লাইনে দিয়েও হতাশ হতে ফিরতে হল সকলকেই, কারণ কোনও নোটিস ছাড়াই এদিনও বন্ধ রইল সমস্ত কাউন্টার। প্রশাসনের নির্দেশ সত্ত্বেও কোনওরকম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এহেন ঘটনায় ক্ষুব্ধ দোকানের বাইরে প্রতিক্ষারত অগণিত মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.