সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গণবিবাহ (Mass marriage)-এর অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়লেন বিধায়ক। একই মঞ্চে আদিবাসী, হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বিবাহ অনুষ্ঠানকে ঘিরে উৎসবের মেজাজ দেখা গেল পান্ডবেশ্বরের দান্নো গ্রামে।
পান্ডবেশ্বর এলাকার বেশ কিছু যুবক ও যুবতীর বিয়ে আটকে ছিল আর্থিক সমস্যার জেরে। আর্থিক দুর্বলতার কারণে তাঁদের পরিবার বিয়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি সেরে রাখলেও আসল কাজ আটকে ছিল। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারির কানে পৌঁছায় এই খবর। তখন থেকেই পরিকল্পনা করতে থাকেন বিধায়ক। ওই এলাকারই কিছু শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের সঙ্গে এই বিষয়ে বেশ কয়েক দফায় আলোচনাও করেন তিনি।
কিন্তু, একসঙ্গে আদিবাসী, হিন্দু ও মুসলিম যুবক-যুবতির বিয়ে নিয়ে দ্বিধা থাকলেও স্থানীয়দের উৎসাহে সেই বাধা টপকে শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় এই অভিনব গণবিবাহের। মোট ১৪ জোড়া দম্পতির বিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বহু মানুষ। একজোড়া আদিবাসী, ছজোড়া মুসলিম ও সাত জোড়া হিন্দু যুবক-যুবতীর দুই হাত এক হয় এই গণবিবাহ অনুষ্ঠানে। সবকিছু শেষ হওয়ার পর নবদম্পতিদের আর্শীবাদ করেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরি।
আর্শীবাদ স্বরুপ নববধূর হাতে তুলে দেওয়া হয় একজোড়া কানের দুল ও একটি করে আলমারি। বিয়ের শেষে তাঁদের হাতে ৮ দিনের খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয় শাসকদলের পক্ষ থেকে। পরে প্রায় ৩০০ জন অতিথিকে রীতিমতন কবজি ডুবিয়ে খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এসম্পর্কে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই আমরা হাঁটছি। উনিই আমাদের অনুপ্রেরণা। প্রতিবছরই এই ধরনের অনুষ্ঠান করব। যাঁরা আর্থিক দুর্বলতার কারণে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে পারছেন না তাঁদের পাশে দাঁড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.