পলাশ পাত্র, তেহট্ট: পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণার পরের দিনই বাড়িতে এসে প্রয়োজনীয় নথিপত্রও নিয়ে যান বিডিও। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর ছয় মাস কেটে গিয়েছে। এখনও কিন্তু চাকরি পাননি শহিদ সুদীপ বিশ্বাসের পরিবারের কেউ-ই। স্বাধীনতা দিবসের আগে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন শহিদ জওয়ানের বোন ঝুম্পা বিশ্বাস।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা প্রাণ কেড়েছিল ৩৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানের। শহিদ হন নদিয়ার তেহট্টের সুদীপ বিশ্বাসও। রাজ্য সরকার তো বটেই, ব্যক্তিগতভাবে শহিদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সুদীপ বিশ্বাসের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদের বোন ঝুম্পা বিশ্বাসের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যেদিন চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তার পরেরদিনই তাঁদের বাড়িতে আসেন তেহট্টের বিডিও। চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যান। কিন্তু চাকরি পাওয়া তো দূর অস্ত, এখন প্রশাসনের তরফে বলা হচ্ছে, রাজ্যে চাকরির অবস্থা ভাল নয়। ওপরমহল থেকে যদি ব্যবস্থা করা হয়, তাহলেই তিনি চাকরি পাবেন। এদিকে মাস খানেক আগে বাড়িতে গিয়ে সুদীপ বিশ্বাসের পরিবারের হাতে ‘ভারত কল্যাণ প্রতিষ্ঠান’ নামে একটি সংস্থার সদস্যরা আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সরকারি চাকরি নিয়ে উৎকণ্ঠা কাটছে না শহিদের পরিবারের।
কী বলছেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা? তেহট্ট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভ সিংহরায়ের সাফাই, ‘আমি আমার কাজ করে দিয়েছি। চাকরির বিষয়ে জেলাশাসক কিংবা নবান্নের আধিকারিক বলতে পারবেন। আমার আর কিছু করার নেই।’ শহিদের পরিবার কেউ এখনও কেন চাকরি পেলেন না? সে বিষয়ে খোঁজখবর করার আশ্বাস দিয়েছেন নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তাপস সাহা। এদিকে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর ছয় মাস কেটে গেলেও এখনও পুত্রশোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি শহিদ সুদীপ বিশ্বাসের মা মমতাদেবী। এখনও ছেলের কথা ভেবে কান্নাকাটি করেন তিনি। এমনকী, ঘুমের মধ্যেও আঁতকে ওঠেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.