Advertisement
Advertisement

কিষানজি ঘনিষ্ঠ মাও নেতার আত্মসমর্পণ

কমলেশ মাহাতো বলেন, “আমি তিন বছর মাওবাদী স্কোয়াডে ছিলাম৷ ভুল পথে গিয়েছিলাম৷ এখন মূল স্রোতে ফিরে আসতে চাই৷”

Maoist leader surrenders

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 1, 2016 10:35 am
  • Updated:November 1, 2016 10:35 am  

স্টাফ রিপোর্টার: কিষানজি ঘনিষ্ঠ মাওবাদী কিশোর সত্ত্বের অস্ত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক রাজ্য কমিটির কমান্ডার বছর ছাব্বিশের কমলেশ মাহাতো সোমবার ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষের কাছে আত্মসমর্পণ করে৷ পুলিশ এর কাছ থেকে একটি এ কে ৪৭ এবং দুটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করে৷ এদিন সন্ধা ছটা নাগাদ ঝাড়গ্রাম পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ তাঁর অফিসের মিটিং হলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন৷ সাংবাদ মাধ্যমের সামনে কমলেশ মাহাতোকে হাজির করানো হয়েছিল৷ তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি দেশি পিস্তল এবং চার রাউন্ড গুলি সাংবাদ মাধ্যমকে দেখানো হয়৷ পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কমলেশের বাড়ি লালগড় থানার গোপীনন্দপুর গ্রামে৷ সে বিএ ইংরেজি অনার্স৷ সাতটি ভাষার উপর তার দখল আছে৷ কমলেশ কিষানজির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল৷ সেই সুবাদে সে অন্যান্য শীর্ষ মাওবাদী আকাশ দ্বিজেন, শচীনের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছিল৷ সে আরও পঞ্চাশজন যুবককে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং সে নিজেও অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত৷ তার হাত ধরে যারা অস্ত্র প্রশিক্ষণ পেয়েছে তারও বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে৷ কমলেশ লালগড় মঞ্চ এবং যাদবপুর গ্রুপ তথা দেবলীনা ঘনিষ্ঠ৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, কমলেশ মাহাতো বর্তমানে দেশের ওড়িশা, হায়দরাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বিভিন্ন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিল৷ সম্প্রতি সে জঙ্গলমহলে ঢোকার চেষ্টা করছিল৷ খবর পেয়ে পুলিশ তৎপর হয়৷ ঝাড়গ্রামের এসডিপিও বিবেক বার্মার তৎপরতায় পুলিশ টিম হায়দরাবাদ থেকে তাকে বুঝিয়ে নিয়ে আসে৷ কমলেশ আত্মসমর্পণে রাজি হয়৷ পুলিশ সুপার জানিয়েছে, রাজ্যে মাওবাদী স্ক্রিনিং কমিটিতে তাকে পাঠানো হবে৷ এর সঙ্গে আরও ৫০ জন যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে তারাও আত্মসমর্পণ করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার৷ কমলেশের বিরুদ্ধে অপহরণ, ইনসাস বন্দুক লুঠ-সহ একাধিক রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রয়েছে৷ এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে কমলেশ মাহাতো বলেন, “আমি তিন বছর মাওবাদী স্কোয়াডে ছিলাম৷ ভুল পথে গিয়েছিলাম৷ এখন মূল স্রোতে ফিরে আসতে চাই৷”

ঝাড়গ্রাম পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “কমলেশ মাহাতো নতুন প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠছিল৷ সে মাওবাদী আদর্শে ভুগছিল৷ এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে৷ যে এ কে ৪৭টি উদ্ধার হয়েছে সেটি কোথা থেকে কীভাবে সে পেয়েছিল তার জন্য তদন্ত প্রয়োজন৷ সে আজ আত্মসমর্পণ করছে৷ একে রাজ্যের যে মাওবাদী স্ক্রিনিং কমিটি আছে সেখানে পাঠানো হবে৷”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement