ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: বাংলা থেকে গ্রেপ্তার ফেরার মাওবাদি নেতা মনোজ চৌধুরি। একাধিক মামলায় নাম জড়ানোয় তাকে অনেকদিন ধরেই খুঁজছিল এনআইএ। শনিবার সকালে হুগলিতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে NIA। এদিনই তাকে রাঁচির এনআইএ-র বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। পাঁচদিনের জন্য মনোজকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ।
এনআইএ সূত্রে খবর, মাওবাদিদের সম্পত্তি, আর্থিক লেনদেনের বিষয় দেখভাল করত মনোজ চৌধুরি। এমনকী প্রয়োজনীয় আগ্নেয়াস্ত্র উপযুক্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করত সে। ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল এনআইএ। সেই মামলায় নাম জড়ায় মনোজের। তখন থেকেই তার খোঁজ চালাচ্ছিল এনআইএ। শেষপর্যন্ত শনিবার তাদের জালে ধরা পড়ে মাও নেতা মনোজ। জানা গিয়েছে, সে আদপে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার ভারতী চালকরি গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় আত্মগোপন করেছিল । এদিনের অভিযানে মনোজের বাড়ি থেকে মাওবাদিদের সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেনের নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে এক অভিযানে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের আকবাকিতান্ড গ্রাম থেকে SAC সদস্য সুনীল মাঝি-সহ ১৫ জন মাও নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল এনআইএ। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ডুমরি জেলায়া একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এমনকী, অভিযোগ দায়ের করে NIAও। সেই তদন্তে নেমে লুগু পাহাড় এলাকা থেকে আরও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। মনোজ চৌধুরি-সহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুটি চার্জশিট ফাইল করে NIA।
তদন্তে উঠে আসে, মনোজ নিষিদ্ধ মাওবাদি সংগঠনের দীর্ঘদিনের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনের আর্থিক লেনদেন, টাকা তোলা, সেই টাকাপয়সার ব্যবহার দেখভাল করত সে। ২০০৮ সাল থেকেই মাওবাদি শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র গিরিডিতে পৌঁছে দেওয়ার কাজের সঙ্গেও যোগ ছিল তার। প্রসঙ্গত, গত তিন বছর ধরে গ্রেপ্তারি এড়াচ্ছিল মনোজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.