সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: তিস্তায় লাশের পাহাড়। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের সংখ্যা ২৪ ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। আরও কয়েকটি মৃতদেহ তিস্তার (Teesta) চরে আটকে রয়েছে বলে খবর। উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে এনডিআরএফ, পুলিশ এবং পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
তিস্তার চার নম্বর থেকে দশ নম্বর এলাকাজুড়ে চলছে তল্লাশি। উদ্ধার বেশিরভাগ মৃতদেহই সেনা (Indian Army)কর্মীদের বলে সন্দেহ। ছটি দেহ সনাক্ত করেছে সেনা। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সনাক্তকরণ এবং ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে, সিকিমের বিপর্যয়ে মৃত আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সেনা জওয়ান বিমল ওরাওঁয়ের দেহ শুক্রবার পৌঁছয় হাসিমারায়, তাঁর বাড়িতে। এদিন চা বাগানের কাজ বন্ধ রেখে জওয়ানের শেষকৃত্যে (Funeral) শামিল হন সকলে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে বিমল ওরাওঁয়ের মৃতদেহ তিস্তার চর থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি হাসিমারার মধু চা বাগানের মুন্সি লাইনে। বিমলের ভাই সিআরপিএফে কর্মরত রয়েছেন। বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে কর্মরত ছিলেন বিমল। সিকিমের বেস ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। সিকিম বিপর্যয়ে অন্যান্য সেনা জওয়ানের সঙ্গে তিনিও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় মধু চা বাগান জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অমল মুন্ডা বলেন, “বিমলদের বাড়িতে ওর বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলে ও ভাইয়ের বউ রয়েছে। শহিদের ভাই সিআরপিএফে কর্মরত। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সেনাতে থেকে দেশের সেবা করছে বিমল। বিমলের মৃত্যু দেশের জন্য বড় ক্ষতি। আমাদের শোক জানানোর ভাষা নেই।” বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “মধু চা বাগানের মুন্সি লাইনের এক সেনা জওয়ান সিকিম বিপর্যয়ে শহিদ হয়েছেন। তাঁর মৃতদেহ শুক্রবার বাড়িতে আনা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.