অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের ভাঙন বিজেপি শিবিরে। এবার তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন টিটাগড়ের মৃত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার (Manish Shukla) ঘনিষ্ঠ এক নেতা-সহ প্রায় ২০০০ জন। দলের শক্তি বৃদ্ধিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ঘাসফুল শিবির। তবে দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেয় উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে (Titagarh) একটি যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। সেখানে ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)-সহ অন্যান্যরা। সেখানেই তৃণমূলে যোগ দেন বহু বিজেপি কর্মী। তৃণমূলের দাবি, এদিন প্রায় ২০০০ জন তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন রাজু সাউ। ওই ব্যক্তি মৃত বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বারাকপুর থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন মণীশ শুক্লার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লা। রাজু সাউ ছিলেন তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট। তিনিই এবার ছাড়লেন দল। বিজেপির অন্দরমহলে এই দলত্যাগের যথেষ্ট প্রভাব পড়বে বলেই দাবি ওয়াকিবহল মহলের।
এই দলত্যাগ প্রসঙ্গে চন্দ্রমণি শুক্লা বলেন, “এখন যা পরিস্থিতি, যেভাবে অত্যাচার হচ্ছে, তাতে মানুষ ভয় পাচ্ছেন। আগে প্রাণে বাঁচব তারপর তো দল করব। সকলেই বাঁচতে চাইছেন বলে তৃণমূলে যাচ্ছেন।” চন্দ্রমণি শুক্লার কথায়, “এই দলত্যাগের বিশেষ প্রভাব পড়বে না। বিজেপি কর্মীরা যদি তৃণমূলে গিয়ে সুস্থভাবে বাঁচতে পারেন তাতে কোনও সমস্যা নেই।” দলত্যাগীদের কথায় তাঁরা উন্নয়নের শরিক হতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উল্লেখ্য, গতবছর অক্টোবর মাসের শুরুতে এক রবিবার ভরসন্ধেয় টিটাগড়ে প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় তরুণ তথা টিটাগড় পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ শুক্লাকে লক্ষ্য করে। গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যান তিনি। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.