বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য ও ধনরাজ তামাং: গত বছরের ক্ষত এখনও টাটকা। তিস্তার ‘ক্ষ্যাপামি’তে ভেসে গিয়েছিল উত্তরের একাধিক জেলা। কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজার এলাকা। বর্ষার শুরুতেই ফিরছে সেই স্মৃতি। সিকিমে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা। ধসে বিচ্ছিন্ন একাধিক রাস্তা। তিস্তার জলে ভাসছে বহু এলাকা। চরম বিপাকে পর্যটকেরা। হড়পা বানে নিখোঁজ অন্তত ৫।
উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি ও দুর্যোগ চলছে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। উপরের দিকের পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইতে পারে। ভুটান এবং সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক বৃষ্টির প্রভাব পড়ছে বঙ্গের নদীগুলিতে।
মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত সিকিমের মঙ্গন জেলা। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত থেকে সেখানে ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রিমিত খোলা ও রাফং খোলা নদী ফুসে উঠে জনপদে ঝাপিয়ে পড়েছে। উড়েছে একাধিক রাস্তা। এই মূহুর্তে মঙ্গন পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সেখানে মোবাইল পরিষেবাও কাজ করছে না।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রবল বর্ষণের জেরে হড়পা বানে ভেসে নিখোঁজ হয়েছে ৫ জন। একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রংরাং এর কাছে আমবিথাং-এ তিনজন নিখোঁজ হয়েছে। মঙ্গনের কাছে পাকশেপ এলাকায় নিখোঁজ আছে দু’জন। গেইথাং, নামপাথাং এলাকায় ভূমিধসে প্রচুর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ব্রিংবং আউট পোস্টের পুলিশ কর্মীদের নিরাপদ এলাকায় সরানো হয়েছে। সংকালং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কোনও সময় সেটা ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিংবং গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়েছে। এদিকে তিস্তা নদী ফুসে ওঠায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে। সিকিমের মেল্লি স্টেডিয়ামে নদী ঢুকে পড়েছে। কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সমতলে জলপাইগুড়ির দিকেও তিস্তার জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। শুধু তিস্তা নয়, মূর্তি-মাল সহ একাধিক নদীতে হু হু করে বাড়ছে জলস্তর। এদিকে সিকিমের লাচুংয়ে নতুন করে ধস নেমেছে বলে খবর। বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.