ফাইল ফটো
সুব্রত বিশ্বাস: লিলুয়ায় করোনা আক্রান্ত এক হোসিয়ারি কর্মীর বিদেশ যোগের সন্ধান না পাওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ল প্রশাসনের। সংক্রমণের উৎস জানতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন।
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গত শুক্রবার জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন এক ব্যক্তি। পরে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় , তিনি করোনা আক্রান্ত। এরপর ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা বাইশজনকে কুয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তির বিদেশ যোগের কোনও সম্ভাবনা নেই। মন্ত্রী বলেন, “বহু দিক দিয়ে খোঁজ চলছে। এখনও কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে। তাঁকে আইএলএস হাসপাতালে রাখা হয়েছে।” এর আগে বালি ঘোষপাড়ায় এক ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। বিহারবাসী ওই ব্যক্তিরও বিদেশযোগের সূত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়ে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোন উৎস থেকে এনারা আক্রান্ত তা জানতে সরকার মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। দেশজুড়ে লকডাউনের সময় ৩ মে ঘোষণা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ যাতে খেতে পান, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি পরিসংখ্যান মতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১০। এপর্যন্ত এই মারণ রোগে প্রাণ হারিয়েছে ৭ জন। উদ্বেগের বিষয়, এর আগে খোদ কলকাতার বুকে দুই ফুটপাথবাসীর শরীরে মিলেছিল করোনার বিষ। বউবাজার চত্বরেও এক ব্যবসায়ীর শরীরে পাওয়া গিয়েছিল এই জীবাণু। সব মিলিয়ে রাজ্যে বেশ কিছু এমন মামলা সামনে এসেছে যেখানে আক্রান্তের বিদেশ যাত্রার কোনও নজির নেই। ফলে পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই ক্লাস্টার ইনফেকশন’ শুরু হয়ছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই। এহেন পরিস্থিতিতে আগেই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মে মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.