পলাশ পাত্র, তেহট্ট: প্রতিবেশী বৃদ্ধার উসকানিতেই স্ত্রী চলে গিয়েছে৷ মাস সাতেক আগে স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে এই সন্দেহই মনে দানা বাঁধে নদিয়ার তেহট্টের যুবক সৌমিত্র প্রামাণিকের৷ কিছুতেই তিনি স্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি৷ তবে স্রেফ এই সন্দেহের বশে প্রতিবেশীর বাড়িতে ঢুকে বিধবা বৃদ্ধাকে কোদাল, হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি ভরতি হাসপাতালে৷ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সৌমিত্র প্রামাণিক পলাতক৷
তেহট্ট থানার কড়ুইগাছি উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সৌমিত্র প্রামাণিক৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, আগে বিদেশে কাজ করতেন সৌমিত্র৷ বছর কয়েক আগে বাড়ি ফেরেন তিনি৷ জমি দেখাশোনার কাজ করতেন৷ দু বছর আগে মুর্শিদাবাদের আমতলার এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়৷ মাস ছয় পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য থেকে অহরহ বচসা হতে শুরু করে৷ পারিবারিক শান্তি নষ্ট হয়ে যায়৷ এদিকে পাশের বাড়ির বৃদ্ধা আদুরী বিশ্বাসের সঙ্গে সৌমিত্রর স্ত্রীর আলাপ জমে ওঠে৷ সাংসারিক যাবতীয় সমস্যার কথা তিনি আদুরীকে বলতেন, পরামর্শও নিতেন৷ সৌমিত্রও এনিয়ে কোনও আপত্তি করেননি৷
এরই মাঝে মাস সাতেক আগে স্ত্রী সৌমিত্রকে ছেড়ে চলে যান৷ সেটা মেনেই নিতে পারেননি সৌমিত্র৷ কেন স্ত্রী এভাবে চলে গেলেন, তার কারণ খুঁজতে থাকেন৷ এরপর ধীরে ধীরে তার সন্দেহ যায় প্রতিবেশী বৃদ্ধা আদুরীর দিকে৷ তার মনে হয়, আদুরীর উসকানিতেই স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে৷ ক্ষোভ বাড়তে থাকে তার৷ শুক্রবার সেই ক্ষোভ একেবারে আছড়ে পড়ে৷ আচমকাই মদ্যপ অবস্থায় সৌমিত্র ঢুকে পড়ে আদুরীর বাড়িতে৷ স্রেফ সন্দেহের বশে কোদাল, হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে দেয়। রক্তস্নাত হয়ে বৃদ্ধা উঠোনে লুটিয়ে পড়েন৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আদুরীকে এরপর শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। এসবের মাঝেই অভিযুক্ত সৌমিত্র পালিয়ে যায়। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ সন্দেহের বশে এমন একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলায় স্থানীয় মানুষজনও ক্ষুব্ধ সৌমিত্রর ওপর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.