নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ও তার এক সঙ্গীকে আটকও করেছে পুলিশ। যদিও কেন এই ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার ঘটনা।
রাজপুত নেতাদের অনুমতি না মিললে ‘পদ্মাবতী’র প্রদর্শন নয়
বহুদিন ধরেই এলাকায় রয়েছে ভবঘুরে ওই যুবক। কেউ তার নাম, ঠিকানা জানে না। এলাকার লোকজনের দেওয়া খাবারেই দিন গুজরান হয় তাঁর। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি হোটেলের মালিক সুভাষ অধিকারী ওরফে ছোটু ভবঘুরে ওই যুবকের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ ৩৬ ডিগ্রি ছুঁল পারদ, কাল বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
অভিযুক্ত সুভাষ অধিকারীর মা অঞ্জলীদেবী তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অবশ্য অস্বীকার করেছেন। তাঁর ছেলে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা তিনি মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, “মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক সবাইকে খুব বিরক্ত করত। দোকানের জিনিসপত্র নিয়ে নিত। লোকের গায়ে থুথু দিত।” মানসিকভাবে যে সুস্থ নয়, তার পক্ষে এমন আচরণ অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ কীভাবে কারও সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে যে কোনও সভ্য সমাজে সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। শনিবারই সুভাষ অধিকারী ও তার এক সহযোগী সুবীর সরকারকে আটক করেছে কোকওভেন থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.