নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: দীপাবলির রোশনাই নয়, নিকষ কালো অন্ধকার নেমেছে তাঁদের জীবনে। আধপোড়া মেয়েটা বাঁচবে তো! দিনরাত বাড়ির মন্দিরে মাথা ঠুকছেন এক বৃদ্ধ দম্পতি।
[কালীপুজোর উদ্বোধনে ব্রাত্য কাউন্সিলর, ক্লাবের সম্পাদকের বাড়িতে ভাঙচুর]
উত্তর ২৪ পরগনা বনগাঁর শক্তিগড়ের বাসিন্দা আশি বছরের কেনারাম দাস ও তাঁর স্ত্রী রানু। ওই দম্পতির চার মেয়ে। প্রায় কুড়ি বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ছোট মেয়ের মীনার। তাঁর শ্বশুরবাড়ি নদিয়ার গয়েশপুরে। কিন্তু দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মীনার উপর অত্যাচার করত তাঁর স্বামী বিশ্বনাথ। পাশের গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল তার। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিলেন মীনা। তারজেরেই চলত অত্যাচার। কিন্তু পাছে বৃদ্ধ বাবা-মা দুঃশ্চিন্তায় পড়েন। তাই বাপের বাড়িতে কিছু জানাননি মীনা। মুখ বুঝে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে গিয়েছেন।
মীনার বাপের বাড়ির লোকেদের বক্তব্য, গত ২২ অক্টোবর রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে বিশ্বনাথ। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ঘরের দরজা ভেঙে অগ্নিদগ্ধ ওই তরুণীকে উদ্ধার করে কল্যাণীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। এদিকে খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান কেনারাম দাস ও তাঁর স্ত্রী রানুও। কিছুদিন হাসপাতালে ভরতি ছিলেন মীনা। পরে মেয়েকে বনগাঁর শক্তিগড়ের বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন বৃদ্ধ বাবা-মা। এখন আধপোড়া শরীর নিয়ে বাপের বাড়িতেই আছেন মীনা। আর মেয়ের সুস্থতার কামনায় দিনভর বাড়ির কালীমন্দিরে হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন কেনারাম দাস ও তাঁর স্ত্রী। স্বামী-সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানার অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। অভিযুক্তরা পলাতক।
[ মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ ঘিরে ধুন্ধুমার, ধৃত ২ বিজেপি কর্মী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.