অরূপ বসাক, মালবাজার: বিকেল থেকে নজরে ছিলেন তিন বহিরাগত ব্যক্তি। গভীর রাতে একজনকে ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা। দোকানে আটকে রেখে চলল বেধড়ক মারধর। গ্রামবাসীদের সন্দেহ, ওই ব্যক্তি ছেলেধরা। শেষপর্যন্ত তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের মালবাজারে ওদলাবাড়িতে।
[১৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর নদী থেকে উদ্ধার মেধাবী ছাত্রের মৃতদেহ]
ওদলাবাড়ির চেল সেতু এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার বিকেল থেকে রেলগেটের কাছে ঘোরাঘুরি করছিলেন তিন ব্যক্তি। সকলেই বহিরাগত। তাঁদের আগে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। নজর রাখছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতে বৃষ্টি নামে মালবাজারে ওদলাবাড়িতে। গ্রামবাসীদের দাবি, তুমুল বৃষ্টির মধ্যে গ্রামে ঢুকে পড়েছিলেন ওই তিনজন। দু’জন পালিয়ে গেলেও, একজনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। দোকান ঘরে আটকে রেখে চলে বেধড়ক মারধর। যে ব্যক্তিকে মারধর করা হয়, তিনি ছেলেধরা বলে অভিযোগ। ওদলাবাড়ির চেলসেতু এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁর কথায় অসংগতি ছিল। খবর দেওয়া হয় থানায়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি নেপালে। ওদলাবাড়িতে কাজে এসেছিলেন তিনি। তবে অভিযুক্তের কথায় যে অসংগতি আছে, তা স্বীকার করেছেন তদন্তকারীরাও। মালবাজার থানার ওসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
দিন কয়েক আগে মালবাজারে ক্রান্তিতে ছেলেধরা সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চেল সেতু এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁরা আতঙ্কিত। মালদহে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারে প্রাণ গিয়েছে এক যুবকের।
[মেসির হারে ভেঙেছে মন, আত্মহননের পথ বেছে নিলেন মালদহের যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.