ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের জেরে কাটা গেল এক যুবকের পুরুষাঙ্গ। আহত যুবকের নাম কাদের লস্কর। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার খাগড়াবাদ গ্রামে।
শুক্রবার সকালে নিজামউদ্দিন মোল্লার পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদ কাদের লস্করের পরিবারের গন্ডগোল বাঁধে। পুলিশ সূত্রে খবর, মোহাম্মদ কাদের লস্কর নিজের বাড়িতে দর্জির কাজ করছিলেন। সেই সময় তাঁর স্ত্রী সাহারা বিবি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলেন। তখনই প্রতিবেশী যুবক নিজামউদ্দিন মোল্লা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সাহারা বিবিকে দেখে গালিগালাজ শুরু করেন। কাদের তার প্রতিবাদ করলে নিজামউদ্দিন মোল্লা, খোকন সর্দার ও মোসলেম সর্দার তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা দেখে স্ত্রী সাহারা বিবিকে বাঁচাতে আসেন মোহাম্মদ কাদের। তাঁকেও তখন মারধর করা হয়। এমনকী ধারালো কাঁচি দিয়ে তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
[ শিক্ষক নেই স্কুলে, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ তৈরি করছে স্থানীয় দাদা-দিদিরা ]
প্রাণে বাঁচতে লুঙ্গি খুলে কাদের জলে ঝাঁপ মারেন। পরিবারের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবকরা। এরপর স্থানীয় লোকজন কাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাড়িতে। সেখানে দেখা যায়, তার পুরুষাঙ্গ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। ধারালো কাঁচির আঘাতে পুরুষাঙ্গের অনেকটা কেটে গেছে। আহত যুবক কাদেরকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাদের ও তাঁর স্ত্রী সাহারা বিবির চিকিৎসা করা হয়।
আহত যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে জীবনতলা থানার পুলিশ নিজামউদ্দিন মোল্লা ও খোকন সর্দারকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। অন্যদিকে ধৃতদের শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। পুলিশ জানিয়েছেন, নিজামের ছেলের সাইকেল তাঁদের দর্জির দোকানের পাশে তালা খোলা অবস্থায় পড়ে ছিল। তা দেখে কাদেরের ভাইপো ফকির লস্কর চালাতে নিয়ে যায়। আর তা নিয়েই শুরু হয় গন্ডগোল। তবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাদেরের পুরুষাঙ্গে আঘাত করার কথা স্বীকার করেনি কেউই।
[ তিন মহিলার সঙ্গে অভিসার তৃণমূল নেতার, ফাঁস সেক্স টেপ ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.