স্টাফ রিপোর্টার, বারাসত: বারাসতের মনুয়া কাণ্ডের ছায়া এবার দত্তপুকুরে। ঠিক যেন মনুয়া পার্ট টু! স্টোরিলাইনও প্রায় এক। স্ত্রী–র বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌনতা, তারপর প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুনের ষড়যন্ত্র। ‘পথের কাঁটা’ অনুপমকে সরাতে তাঁর স্ত্রী মনুয়া যে পথ বেছে নিয়েছিল, সেই একই পথেই হাঁটল দত্তপুকুরের বয়রা গ্রামের গৃহবধূ রহিমা বিবি।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে রহিমার সাজানো ছকে প্রেমিক সালাউদ্দিন তার স্বামীকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করে। নির্জন রাস্তায় নিয়ে গিয়ে চপার দিয়ে রহিমার স্বামী সইদুলকে চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় সালাউদ্দিন। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় প্রাণে বেচে গিয়েছেন সইদুল। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
অনুপমকে খুন করে পার পায়নি মনুয়া ও তার প্রেমিক অজিত। দু’সপ্তাহ পরে তাদের ষড়যন্ত্র ফাঁস করে পুলিশ। তবে এক্ষেত্রে অত সময় লাগেনি পুলিশের। শুক্রবার রাতেই সইদুলের স্ত্রী রহিমা ও তার প্রেমিক সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার ধৃত দু’জনকে বারাসত আদালতে পেশ করা হয়।
দত্তপুকুর থানার বয়রা এলাকার বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, বছর দশেক আগে সইদুলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল রহিমার। তিন কন্যাসন্তানের মা সে। সইদুলের ভাই মনিরুলের অভিযোগ, বছর তিনেক হয়েছে সালাউদ্দিনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রহিমা। বছর খানেক সইদুলের অনুপস্থিতিতে বাড়ির মধ্যে সালাউদ্দিনের সঙ্গে রহিমাকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন মনিরুল। তার জেরে ব্যাপক অশান্তিও তাঁদের পরিবারে।
এই ঘটনার পর ভাসিলা এলাকার গোবর্ধনপুরে বাপের বাড়িতে চলে যায় রহিমা। কিন্তু কয়েক মাস আগে সইদুল গিয়ে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। সইদুলের প্রতিবেশী সিরাজুল গাজির অভিযোগ, “রহিমা এদিন সালাউদ্দিনকে ফোন করে ডাকে। এবং স্বামীকে বলে, সালাউদ্দিনের সঙ্গে পাত্রী দেখতে যেতে। সালাউদ্দিনকে নিজের সাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে যায় সইদুল। ছোট জাগুলিয়ায় বসন্ত বিহার বাগান বাড়ির কাছে একটি নির্জন জায়গায় আচমকা চপার বের করে সইদুলকে কোপাতে শুরু করে সালাউদ্দিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.