শেখর চন্দ্র, আসানসোল: সহকর্মীর কাছে সার্ভিস রাইফেল রেখে খেতে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। তারপর এই কারখানার ভিতর থেকে গোলাগুলির শব্দ, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার আরেক নিরাপত্তারক্ষীর। আসানসোলের (Asansol) সালানপুরের লোহা কারখানায় শুক্রবার সকালে এহেন কাণ্ড ঘিরে ছড়িয়ে পড়ল ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত সহকর্মী। শুরু হয়েছে তদন্ত।
শুক্রবার সালানপুরের দেন্দুয়ায় একটি বেসরকারি লোহা-ইস্পাত কারখানার ভিতর থেকে বন্দুকের শব্দ শোনা যায়। লোকজন ভিতরে ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক ব্যক্তি। তাঁর নাম আনন্দ অরবিন্দ। তিনি কারখানার নিরাপত্তারক্ষী (Security) ছিলেন। তাঁরই সহকর্মী, আরেক নিরাপত্তারক্ষী আরেক সহকর্মী তথা ‘গানম্যান’ আশিস দাসের রাইফেলের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।
ঘটনার পর থেকে পলাতক আশিস দাস। ঘটনা ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। কারখানার অন্যান্য কর্মীদের দাবি, গুলির (Shot) শব্দ শুনে তাঁরা ছুটে যান। দেখন রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী আনন্দ অরবিন্দ। তাঁর পাশে পড়ে রয়েছে আশিস দাসের রাইফেলটি। এক শ্রমিকের মতে, ‘গানম্যান’ আশিস দাস নাকি নিরাপত্তারক্ষী অরবিন্দকে রাইফেলটি দিয়ে বাইরে খাবার খেতে গিয়েছিলেন। তখনই এই ঘটনা ঘটে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, ওই রাইফেল নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আনন্দ নাকি রাইফেলটি নাড়াচাড়া করতে গিয়ে অসাবধানবশত গুলি লেগে গিয়েছে? নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সালানপুর (Salanpur) থানার কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর নিরাপত্তারক্ষী আনন্দ অরবিন্দকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.