ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটল ডেস্ক: বিয়ের সম্বন্ধ করতে এসে কেপমারির অভিযোগ। বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসে পাত্রীর বাড়ি থেকে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিল হবু-বর। যাওয়ার সময় হবু-স্ত্রীর দামী মোবাইলটিও পকেটস্থ করেছে অভিযুক্ত যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগরের আট নম্বর ওয়ার্ডের নারুয়া এলাকায়।। অভিযোগ, পাত্র ও তার মাসিকে বসতে দিয়ে পাত্রীর মা বাড়ির ভিতরে যেতেই কুকর্ম সারে অভিযুক্তরা। তারপর মিষ্টি খেয়ে চম্পট দেয়। এই ঘটনায় চন্দননগর থানায় চুরি ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিকে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পাত্রীর অভিভাবকদের যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। সেটি ভুয়ো। বারাকপুরের সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় অভিযুক্ত পাত্রের বাড়ি নেই। এবার ফোন নম্বরের সূত্র ধরে প্রতারক যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পাত্রীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। অনেকদিন থেকেই মেয়ের বিয়ের কথা চলছিল। ওই যুবক নিজেকে পাত্র পরিচয় দিয়ে ফোন করে। বুধবার সন্ধ্যায় মাসিকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েকে দেখতে আসে। মেয়েকে দেখানোর পর অতিথি অভ্যাগতদের জন্য জলখাবারের ব্যবস্থা ছিল। মেয়ের সঙ্গে আলাপপর্ব সারা হলে পরিজনরা বাড়ির ভিতরে চলে যান। অভিযোগ, সেই সুযোগেই আলমারি খুলে পাঁচ হাজার টাকা ও পাত্রীর মোবাইলটি নিয়ে নেয় অভিযুক্ত। এরপর নিশ্চিন্ত মনে জলখাবার খেয়ে নেয়। খাওয়া হলে জানায় পাত্রী পছন্দ হয়েছে। খুব শিগগির অভিভাবকরা বিয়ের দিন ঠিক করবেন। পাত্রের মুখে একথা শুনে পাত্রীর মা খুশিই হয়েছিলেন। এরপর অতিথিরা চলে গেলে হঠাৎ দেখা যায় পাত্রীর মোবাইল ফোনটির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। টেবিলে সিম পড়ে আছে। এমনকী, আলমারিতে থাকা নগদ পাঁচ হাজার টাকাও উধাও হয়েছে। তখনই পাত্রের উপরে সন্দেহ পড়ে। এই ঘটনার পর পাত্রকে বারবার ফোন করা হলেও আর কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি বলে অভিযোগ।
শেষপর্যন্ত চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পাত্রীর অভিভাবকরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল যুবক। দিন কয়েক আগেই রিয়াকে সে ফোন করে। জানায়, তাঁকে পছন্দ হয়েছে। ওই তরুণী বেশ কয়েকবার জানতে চেয়েছেন ফোন নম্বর যুবকের হাতে কী করে গেল? তবে এই প্রশ্নের সরারসি জবাব দেয়নি অভিযুক্ত। পছন্দ হওয়ার খবরে তরুণী এতটাই আনন্দিত ছিলেন যে বেশি খোঁজখবরই নেননি। অভিযুক্তদের নাগাল পেতে ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.