Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল

সমীক্ষা দেখেই ‘এক্সিট’! তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে গেল দরজির দোকানে

ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে দরজির দোকানের বোর্ড।

Man opens a tailoring shop at TMC office in Durgapur
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 22, 2019 4:56 pm
  • Updated:May 22, 2019 4:56 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বৃহস্পতিবার ভোটের ফলপ্রকাশ। তার আগে বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখিয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। আর সেই ফলাফল কিছুটা ভয় ধরিয়েছে শাসকদলের একাংশের মধ্যে। হ্যাঁ, এমনটাই বলছেন দুর্গাপুরের বাসিন্দারা। আর সেই আতঙ্কে ফলাফল প্রকাশের আগেই তৃণমূল কার্যালয় বদলে গেল দরজির দোকানে। দোকানের বাইরে এমন বোর্ড দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী। যদিও পরে চাপে পড়ে ইতিমধ্যেই বোর্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ঝুলছে ‘রাজনৈতিক’ বদলির খাঁড়া, ফলপ্রকাশের আগে আতঙ্কে কাঁটা পুলিশ প্রশাসন]

ইস্পাত নগরীর সি-জোনে তৃণমূলের একটি শ্রমিক ভবন রয়েছে। এক সময় কর্মী,সমর্থকদের ভিড়ে গমগম করত এই কার্যালয়। বছর দুয়েক হল দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী অজিত লালকে বহিষ্কার করেছে দল। তার তত্ত্বাবধানেই  ছিল এলাকার ওই কার্যালয়। কিন্তু অজিত দল ছাড়ার পরই নিস্তেজ হয়ে পড়ে কার্যালয়। সুযোগ বুঝে তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে হাতও মেলায় অজিত। ফলে কার্যালয়টি বন্ধ অবস্থায় পড়েছিল। এরপর আচমকাই কার্যালয়ে দরজির দোকান খুলে ফেলেন অজিত।

Advertisement

আর এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী লোকসভা নির্বাচনের ফল অনুকুলে হবে না বলেই ধরে নিয়েছে শাসকদলের একাংশ। সেই কারণে নিজের ‘রং’ পরিবর্তন করেছেন অজিত। এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেও প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যদিও অজিতের দাবি, ওটা দোকান নয়। ওই ঘরে এলাকার বেশ কিছু গরীব, দুঃস্থদের দরজির কাজ শেখান তাঁর স্ত্রী। কারণ, অন্য কোথাও জায়গা পাননি তিনি।  

[আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত তুফানগঞ্জ, বিজেপি কার্যালয়ে হামলায় কাঠগড়ায় তৃণমূল]

চাপে পড়ে বুধবার সকালে দোকানের বোর্ড খুলে নেন অজিত। তবে ভোটের ফলাফলের আগেই এই ‘পরিবর্তন’ নিয়ে কটাক্ষ করছে দুর্গাপুরবাসী। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই কার্যালয়ের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। প্রথম থেকেই ছিল না। তাই এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করব না।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও আইএনটিটিইউসির চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন দাশু বলেন, “আমি জানি না ঠিক কী হয়েছে। তবে বিষয়টি একান্তভাবেই দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। দলের মধ্যে বসে আলোচনা করেই ক্ষোভ থাকলে তা মেটানো হবে।” 

ছবি: উদয়ন গুহরায়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement