ধীমান রায়, কাটোয়া: রোগা-পাতলা চেহারা, শরীরে তেমন জোর নেই। স্নানের তেল আনতে দেরি করে ফেলায় বেধড়ক মেরেছিলেন বাবা। ঘটনার পর ঘর থেকে বছর দশেকের এক বালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। স্বামীর বিরুদ্ধে মেয়েকে খুন করার অভিযোগ করেছেন মৃতার মা। অভিযুক্ত পলাতক। যদিও এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
কাটোয়া শহরের ধোপাপুকুর পাড়ায় থাকেন মনোজ মাঝি। পেশায় তিনি রিক্সাচালক। স্ত্রী লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। ওই দম্পতির এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ে কোয়েল জন্ম থেকে অপুষ্টিতে ভুগত। শরীরে তেমন জোর ছিল না। বাড়ির কাজকর্মও করতে পারত সে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, রাতে বাড়িতে ভাইকে নিয়ে একাই ছিল কোয়েল। কাজ থেকে ফিরে মেয়েকে স্নানের তেল আনতে বলেছিলেন মনোজ। কিন্তু, শারীরিক অসুস্থতা কারণে তেল আনতে দেরি করে ফেলেছিল কোয়েল। মেয়েকে বেধড়ক মারধর করেন মনোজ। মনোজের স্ত্রী লক্ষ্মী মাঝির বক্তব্য, রাতে তিনি যখন বাড়ি ফেরেন, তখন দেখেন, কোয়েল গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। আর তাঁর স্বামী পালিয়ে গিয়েছেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে কাটোয়ার ধোপাপুকুর পাড়ায়।
মৃতের পরিবারের লোকের দাবি, জন্ম থেকে মেয়েকে সহ্য করতে পারতেন না মনোজ। কিন্তু ছেলে খুবই আদরের। তাঁদের অভিযোগ, মনোজই মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাটোয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। অভিযুক্ত মনোজ মাঝিকে নাগালে পেতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ছবি: জয়ন্ত দাস৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.