স্টাফ রিপোর্টার: রাস্তা থেকে উদ্ধার হল ছ’বছরের শিশুর মৃতদেহ। চোখের তলায় কালশিটে। নাকের কোণে জমাট বেঁধে রয়েছে রক্ত। পুলিশি অনুসন্ধানে যা সামনে এসেছে, তা ভয়াবহ। সামান্য ব্যবসার হিসেব নিয়ে গণ্ডগোল। তার জেরেই ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত খুন। খুনি? কারখানার কর্মচারী সরিফুল মোল্লা।
[আরও পড়ুন: বন্ধুত্বের টান! থাইল্যান্ড থেকে চন্দ্রকোনায় হাজির দুই বান্ধবী]
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির বাড়ি ভাঙড়ের পূর্ব কাঠালিয়ায় উত্তরপাড়ায় এলাকায়৷ নিবতের নাম শাকিব মোল্লা, বয়স ৬। তার বাবা শাহাজাহান মোল্লা ব্যাগের কারখানা চালায়। সেখানেই কাজ করে অভিযুক্ত সরিফুল। ব্যাগের ব্যবসা নিয়ে দু’জনের মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল। সোমবার বাড়িতে কেউ ছিল না। শিশুটির মা গিয়েছিল ভাঙড় বাজারে। সন্ধ্যাবেলা বাচ্চাটি একা একা বাড়ি থেকে বেরোয়। সে সময় মাঝরাস্তায় তাকে দেখতে পায় সরিফুল। এবং তাকে টিয়াপাখি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় সরিফুল। প্রথমে ছোট্ট শিশুটিকে রাস্তায় আছড়ে ফেলে সে। এরপর শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলা টিপে খুন করে তাকে। এবং বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়ে সরিফুল।
[আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদির প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত, দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ]
স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে রাস্তায় পড়ে আছে দেখেন শিশুর নিথর দেহটি। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল চাপ চাপ রক্ত। তড়িঘড়ি শিশুটিকে জিরানগাছা হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রথমে শিশুটির মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিশ। পরে শিশুটির বাবা পুলিশকে জানায়, কিছুদিন আগেই ব্যবসা নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সরিফুলের। এরপরেই সরিফুলকে আটক করে কাশীপুর থানার পুলিশ। এবং দীর্ঘ জেরার পর দোষ কবুল করে সরিফুল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.