সম্যক খান, মেদিনীপুর: বারাসতের মনুয়াকাণ্ডের ছায়া এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে। প্রেমিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল বধূর বিরুদ্ধে। কুপিয়ে খুন করা হয় কান্ত মুর্মুকে। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত কৃষ্ণপ্রসাদ মুর্মু ও সুকু মুর্মুর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলাকে পুলিশ আটক করেছে।
[বিসর্জন নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্যের সমালোচনায় আদালত]
মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাঘাগেড়িয়ায় থাকতেন ৪২ বছরের কান্ত মুর্মু। তিনি পেশায় প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বঙ্কিম মুর্মু জানান কান্তর স্ত্রীর সঙ্গে এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণপ্রসাদ মুর্মুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। ওই দম্পতির একটি ১৪ বছরের ছেলেও রয়েছে। কান্তর স্ত্রী এবং কৃষ্ণপ্রসাদ একবার হাতে-নাতে ধরাও পড়ে। এই নিয়ে সালিশি সভায় তখনকার মতো মিটমাট হলেও আড়ালে-আবডালে দুজনে মেলামেশা করত বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দারা জানান স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে কৃষ্ণপ্রসাদের সঙ্গে ছক কষে কান্তর স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন কান্ত। এমন সময়ে মোটরবাইকে চেপে আসে কৃষ্ণপ্রসাদ ও তার ভাই সুকু। কান্তকে ঘিরে ধরে দুই ভাই মারধর শুরু করে। এরপর ভোজালি দিয়ে ওই স্কুলশিক্ষককে কোপানো হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বাইকের ক্ল্যাচ দিয়ে কান্তর গলায় ফাঁস দেয় দুজন। কান্তকে ওইভাবে মার খেতে দেখে বাড়িতে খবর দেয় তাঁর ভাইপো লক্ষ্মীকান্ত মুর্মু। পরিজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বুঝতে পারেন সব শেষ। হাসপাতালে কান্ত মুর্মুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
[বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে ‘খুন’ স্বামী]
ঘটনার পর থেকে দুই অভিযুক্ত কৃষ্ণপ্রসাদ মুর্মু ও সুকু মুর্মুর গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ দুজনের খোঁজ শুরু করেছে। মৃতের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। চলতি সপ্তাহে হাওড়ায় এবং উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ফের এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল মেদিনীপুরে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.