বিক্রম রায়, কোচবিহার: ‘হুজুর আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। বউয়ের উপর সন্দেহ করে ছেলেটাকেই মেরে ফেলেছি। যা শাস্তি হয় দিন। আমাকে ফাঁসি দিন’– এক পুলিশকর্মীর কাছে হাউহাউ করে কেঁদে কথাগুলি বলে কার্তিক বর্মন। এরকম ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে কার্তিকের স্ত্রীকে ফোন করেন তাঁরা। কার্তিকের ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার হয় ছয় বছরের সন্তানের দেহ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের পুণ্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত উত্তর কালজানি এলাকায়। আলিপুরদুয়ার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে বিষয়টি জানানো হয় পুণ্ডিবাড়ি থানায়। গ্রেপ্তার করা হয় কার্তিক বর্মনকে (২৮)।
[রেডিমেড পোশাকের ধাক্কা, পুজোর মরশুমে মন্দায় জেরবার দর্জিরা]
জেলা পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত শিশুর নাম সঞ্জয়। কিন্তু কেন ছেলেকে খুন করল কার্তিক? কেনই বা পুলিশের কাছে সব দোষ কবুল করতে গেল সে? বৃহস্পতিবার আদালতে তোলার পথে অভিযুক্ত কার্তিক বর্মন জানায়, তার স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সে মনে করত। সেই ক্ষোভেই সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। তবে পরে আত্মগ্লানি হওয়ায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে। আদালত সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কার্তিক বর্মনের তিনটি সন্তান রয়েছে। সঞ্জয় তার মধ্যে সবচেয়ে ছোট। দীর্ঘদিন যাবৎ সে নিজের স্ত্রীকে সন্দেহ করত। প্রায় দিনই স্ত্রীর সঙ্গে বচসা হত তার। ছোট ছেলে সঞ্জয় তার স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কের ফল বলেও মনে করত কার্তিক। মামার বাড়ি থেকে বুধবার বিকেলে নিয়ে যাবার পর বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে সে ছেলেকে হত্যা করে। পরে তার দেহ খাটের নিচে রেখে আলিপুরদুয়ার চলে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ সুপার দপ্তরে কর্মীদের সে জানায় নিজের ছেলেকে হত্যা করে সে এসেছে। সেখান থেকে তাকে আটক করে আলিপুরদুয়ার থানায় পাঠানো হয়। পরে তাকে পুণ্ডিবাড়ি থানার হাতে তুলে দেয়।
[জেলে আফতাবের জন্য এলাহি আয়োজন, মেনুতে থাকবে মাছ ও পাঁঠার মাংস]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.