Advertisement
Advertisement

Breaking News

শ্যালিকা খুনে পাকড়াও জামাইবাবু, তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়

প্রথমে গ্রেপ্তার অন্যজন, পরে ধৃত জামাইবাবু৷

Man kills sister-in-law in Nadia

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 22, 2018 1:34 pm
  • Updated:August 22, 2018 8:13 pm  

বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: শ্যালিকাকে খুন করে, বস্তাবন্দি দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে৷ ঘটনাস্থল, নদিয়ার চাকদহ থানার অন্তর্গত মথুরগাছি গ্রাম৷ মৃত স্কুলছাত্রীর নাম বর্ষা দাস৷ বাড়ি, চাকদহের মদনপুরের বেলতলায়৷ সে মদনপুর কেন্দ্রীয় আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল৷ অভিযুক্ত জামাইবাবু, তারক ঘোষকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ সূত্রের খবর, জেরায় নিজের দোষ স্বীকারও করেছে ধৃত৷

[‘বিতাড়িত হিন্দুদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গ’ নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মন্তব্য রূপার]

Advertisement

জানা গিয়েছে শনিবার বাড়ির কাছে চ্যাটার্জি পাড়ায় প্রাইভেট টিউশন পড়তে যায় মৃতা৷ টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর একটি ফোন আসে৷ মামার বাড়ি যাওয়ার নাম করে বন্ধুদের সঙ্গে না ফিরে অন্যদিকে চলে যায় সে৷ এরপরই থেকে তার আর কোনও খোঁজ পায় না পরিবারের লোক৷ মৃতার বাবা পেশায় ব্যবসায়ী গোপাল দাস ও মা ঊষা দাস৷ শনিবার মেয়ে বাড়ি না ফেরায় রবিবার সকালে চাকদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা৷ এরপর সোমবার চাকদহের ধনিচার একটি পুকুরের পাড় থেকে নিখোঁজ ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যেই দেহের খোঁজ মেলে৷ তাঁরাই পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন৷ এরপর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে প্রথমে গ্রামেরই এক যুবক, ছোটন দাসকে আটক করে পুলিশ৷ অনুমান করা হয়, দেহটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে৷ প্রেমঘটিত কারণে খুন করা হয়েছে ছাত্রীকে৷ কিন্তু পরে চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় সমগ্র ঘটনা৷

[গাছের রসেই নিকেশ মশা, যুগান্তকারী আবিষ্কার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের]

তদন্তের গভীরে ঢুকে পুলিশ জানতে পারে, আসল জীবনে প্রচণ্ড ব্যভিচারী ছিল মৃতা ছাত্রী৷ একাধিক ছেলের সঙ্গে তাঁর প্রেম ঘটিত সম্পর্ক ছিল৷ এরপরই ফাঁস হয়, মামার বাড়ি যাওয়ার নাম করে আসলে জামাইবাবু তারক ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে যায় সে৷ মাথুরগাছি গ্রাম মনসাপুজোর মেলা দেখার পর, একটি অর্ধনির্মিত বাড়িতে আকন্ঠ মদ্যপান করে তারা৷ এরপর ওই ছাত্রী অসভ্যতা শুরু করলে তাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারক ঘোষ৷ প্রমাণ লোপাটের জন্যই ছাত্রীর দেহ ফেলে আসে ধনিচা এলাকার একটি পুকুরে৷ অভিযুক্ত তারক ঘোষকে পাকড়াও করলে জেরায় এই কথাগুলোই স্বীকার করে সে৷ ঘটনার পরেই পরিবারে নেমে আসে শোকের ছাঁয়া৷ পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে মৃতদেহ৷ সেই রিপোর্ট এলে তদন্তের আরও দিক খুলে যাবে বলে তদন্তকারীদের অনুমান৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement