রিন্টু ব্রহ্ম, কালনা: জীবন বিমার টাকা হাতাতে নিজের স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালনায়। ঘটনার পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে অবরোধ করে মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজন। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে জানা গিয়েছে। মৃতার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের কাছ থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের গাড়ি আটকানোর চেষ্টাও করে উত্তেজিত জনতা।
মৃতার দাদা সুমিত দেবনাথ জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে কালনার তালবনা গ্রামের সৌমাল্লি চন্দের সঙ্গে বিয়ে হয় কালনা শহরের ব্যবসায়ী রিন্টু চন্দের সঙ্গে। দুই কন্যাসন্তানের জন্মও দেন সৌমাল্লি। দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সৌমাল্লির নামে ৩০ লক্ষ টাকার একটি জীবন বিমা করা হয়। অভিযোগ, সেই বীমার টাকা হাতাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা মাঝেমধ্যেই সৌমাল্লির উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চলত বলে অভিযোগ।
[ আরও পড়ুন: অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, ধুন্ধুমার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ]
গত ৯ এপ্রিল তারিখ পেট্রল স্প্রে করে পিছন দিক থেকে সৌমাল্লির গায়ে আগুনে ধরিয়ে দেন স্বামী রিন্টু। এমনই অভিযোগ সৌমাল্লির বাপেরবাড়ির লোকজনদের। এও অভিযোগ জানানো হয়, দগ্ধ অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা সৌমাল্লিকে বাড়িতেই ফেলে রাখে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার কথা জানতে পেরে স্থানীয় বাসিন্দারা বধূর বাপেরবাড়িতে খবর দেয়। এরপর সৌমাল্লিকে উদ্ধার করে প্রথমে কালনা মহকুমা হসপিটালে ভরতি করা হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে।
অভিযোগ, প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও দগ্ধ বধূর কোনও খোঁজ নেয়নি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা। গত পরশু তাঁর মৃত্যু হয়। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার গভীর রাতে মৃতদেহ শ্বশুরবাড়ির রাস্তার সামনে রেখে পথ অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। অভিযুক্তদের বাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মারধর করা হয় মৃতার স্বামীকেও। ঘটনাস্থলে কালনা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর কয়েকজন পালিয়ে যায়। তবে আটক করা হয় মৃতার স্বামীকে।
ছবি- মোহন সাহা
[ আরও পড়ুন: উলট পুরাণ! আইসির বদলি রুখতে পথে নামলেন স্থানীয়রা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.