ধীমান রায়, কাটোয়া: ফের ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের। এবার ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের রাঙাখিলা গ্রাম। মৃত যুবক বর্ধমানের কাঁকসার আড়াগ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সরব মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে পূ্র্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের রাঙাখালি গ্রামে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বর্ধমান জেলা পুলিশের অন্তর্গত ছোঁড়া ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খবর পেয়ে মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। জানা গিয়েছে, মৃত মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের নাম শংকর ঘোষ। শনিবার রাতে কাঁকসা থানার রাঙাখিলা হরিনাম সংকীর্তনের আসরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে ঘুরতে ঘুরতে রাঙাখিলার একটি আদিবাসী পাড়ায় চলে যান ওই যুবক। সেখানেই ইতস্ততভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন শংকর। সেই সময়ই তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় এলাকার বেশ কয়েকজনের। অভিযোগ, এরপরই ছেলেধরা সন্দেহে যুবকের উপর চড়াও হন তাঁরা। বেধড়ক মারধর করা হয় শংকরকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শংকরের। তবে তখনও গ্রামের সকলে বিষয়টি জানতে পারেননি, পরে রবিবার সকালে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামের বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, শংকর ঘোষ নামে ওই ব্যক্তি ছোট থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতেন। বছর তিনেক আগে তাঁর মা মারা যান। এরপর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন তিনি। বাবা-মা দুজনের মৃত্যুর পর থেকে কাঁকসার বাড়িতে একাই থাকতেন শংকর। গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন কীর্তনের অনুষ্ঠানেও যেতেন তিনি। সেই রকমই এদিনও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই বিপত্তি। বর্ধমান জেলা পুলিশের ছোঁড়া ফাঁড়ির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। অভিযুক্তদেরও শাস্তি দেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.