Advertisement
Advertisement

Breaking News

Murder

বচসার মাঝে উত্তেজনা চরমে, দাদার কুড়ুলের আঘাতে খুন ভাই! গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুই ভাই-ই আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন।

Man killed his brother by axe after heated argument, arrested | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 27, 2022 12:19 pm
  • Updated:September 27, 2022 12:21 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ঝগড়াঝাঁটির মাঝেই মর্মান্তিক পরিণতি। ভাইয়ের হাতে খুন আরেক ভাই। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পূজালি পুরসভা এলাকার রঘুনাথপুরের। ভাইয়ের মাথায় কুড়ুল (Axe) দিয়ে আঘাত করেন আরেকজন। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে আক্রান্ত। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পূজালি থানার পুলিশ। আজ তাকে আদালতে পেশ করা হবে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎ মণ্ডল এবং বিশ্বজিৎ মণ্ডল দুই ভাই। তাঁরা পূজালি (Pujali) পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা। মায়ের সঙ্গে নিজেদের বাড়িতেই থাকতেন দু’ভাই। মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ উভয়ের মধ্যে বচসার শুরু হয়। তা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে দাদা অভিজিৎ কুড়ুল নিয়ে ভাই বিশ্বজিতের মাথায় সজোরে আঘাত করে বলে অভিযোগ। অভিজিতের আঘাতে বিশ্বজিৎ ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: SLST চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, পুজোর আগেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারির ঘোষণা]

চিৎকার শুনে স্থানীয়রা পূজালি থানায় ফোন করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পূজালি থানার পুলিশ। বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে স্থানীয় খড়িবেড়িয়ার ব্যঞ্জনহেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্বজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিশ্বজিতের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দাদা অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আলিপুর আদালতে তাকে পেশ করা হবে।

[আরও পড়ুন: চাপে শিশির অধিকারী, দলবদল মামলায় সশরীরে হাজিরার নির্দেশ লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটির]

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মণ্ডল পরিবারের তিন মেয়ের বিয়ে দেওয়ার কিছুদিন বাদেই বাবা অনিল মণ্ডলের মৃত্যু হয়। তাঁদের মা তিন সন্তানকে নিয়ে রঘুনাথপুরের নিজেদের বাড়িতে একসঙ্গে ছিলেন। কিন্তু ছোট ছেলে চুরির অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি। অন্য দুই ছেলেকে নিয়ে কোনওক্রমে দিন গুজরান করতেন মা। দুই ভাইই আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দু’ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ প্রায়শই লেগে থাকতো। যা আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement