ছবি: জয়ন্ত দাস।
ধীমান রায়, কাটোয়া: তিরিশ টাকায় কোটিপতি রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে। পূর্ব বর্ধমান (Purba Burdwan) জেলার ভাতার থানার বাসুদা গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল বৃহস্পতিবার সকালে লটারির টিকিট কাটেন। দুপুর নাগাদ টিকিট মেলাতে গিয়ে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ তার। প্রসেনজিৎ দেখেন টিকিটের প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা তিনিই জিতেছেন।
ঘটনার পর এলাকায় সাড়া পড়ে গিয়েছে। বাসুদা গ্রামের নিতান্ত ছাপোষা পরিবার প্রসেনজিৎ মণ্ডলদের। যৌথ পরিবারে বাবা, মা, দাদা সকলকেই জনমজুরি করে সংসার চালাতে হয়। বাবা অজয় মণ্ডল জনমজুর। মা শুভাদেবী পরিচারিকার কাজের পাশাপাশি জনমজুরি করেন। প্রসেনজিৎরা দুই ভাই। দু’জনেই বিবাহিত। প্রসেনজিৎ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি রাজিপুর গ্রামে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজে এসেছিলেন। তারপর গৃহস্থের কাজের প্রয়োজনেই তিনি ভাতার (Bhatar) )বাজারে আসেন। তার ফাঁকে ভাতার বাজারে কৃষিমাণ্ডিতে গিয়ে একবার ঢুঁ মেরে আসেন। তখনই তিরিশ টাকা দিয়ে এক লটারি (Lottery) বিক্রেতার কাছে টিকিট কাটেন। কিন্তু সেই টিকিটই যে ভাগ্য ফিরিয়ে দেবে, ভাবতেই পারেননি।
প্রসেনজিতের কথায়,”দুপুরে কাজ করতে করতেই এক ফাঁকে গিয়ে টিকিট মেলাতে যাই। তখন দেখি আমার এক কোটি টাকা পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি চলে আসি।” লটারি বিজেতার মা শুভাদেবী বলেন, “আমরা অনেক কষ্ট করি। পরের বাড়িতে কাজ করে, মাঠে কাজ করে ছেলেদের বড় করেছি। নাতিপুতি রয়েছে। ওদেরও ভবিষ্যৎ আছে। তাই কিছু জমিজায়গা কেনা হবে। আর একটা বাড়ি করা হবে।” লটারি যে এভাবে ভাগ্য খুলে দিতে পারে, তা কে-ই বা ভেবেছিল? এখনও তাই তাঁদের বিস্ময়ের রেশ কাটছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.