Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রধানমন্ত্রীর নাম জানেন না, চলন্ত ট্রেনে মুসলিম যুবকের উপর অকথ্য অত্যাচার

ফের ধর্মের নামে হেনস্তার শিকার নিরীহ, দাদাগিরি চার অভিযুক্তর।

Man hounded for failing to name PM Modi in West Benga
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 26, 2018 11:14 am
  • Updated:May 26, 2018 11:14 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত৷ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে এদেশেই খুন হয়েছেন এমএম কালবুর্গি, গৌরী লঙ্কেশ৷ সন্দেহের বসে এখানেই গো-রক্ষকদের রোষানলে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে৷ এই নগ্ন মানসিকতার উত্তাপ থেকে বাদ পড়েনি এরাজ্য৷ সেজন্যই চলন্ত ট্রেনে শিক্ষিতের ধ্বজাধারী চার যুবকের মারধরের মুখে পড়তে হল এক মুসলিম যুবককে৷ তাঁর দোষ, প্রথমত তিনি কম শিক্ষিত৷ দ্বিতীয়ত বা গুরুতর দোষ, দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারেননি তিনি, বলতে পারেননি ভারতের জাতীয় সংগীতের নাম৷ ফলে চলন্ত ট্রেনেই তাঁর উপর চলল অত্যাচার৷

[টাকা নিয়ে হিন্দুত্বের প্রচার? স্টিং অপারেশনে তোলপাড় খবরের দুনিয়া]

Advertisement

কেবল মারধর করেই ক্ষান্ত থাকেনি মুখোশধারী শিক্ষিত চার অভিযুক্ত৷ সমস্ত বিষয়টি ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিয়েছিল ফেসবুকে৷ ভেবেছিল বাহবা পাবে ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সম-মনোভাবাপন্নদের৷ হয়তো পেয়েছেও তাই৷ তবে, তাদের খেয়াল ছিল না ফেসবুকে রয়েছে উদারপন্থীদেরও একটা অংশ৷ আর এটাই কাল হল তাদের৷ তড়িৎবেগে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই ভিডিও৷ নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে৷ ঘটনাটি ঘটেছে, গত ১৪ মে৷ হাওড়া থেকে মালদহের কালিয়াচকে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ওই যুবক৷ ট্রেনের ওই একই কামরাতেই ওঠে চার যুবক৷ নিরীহ যুবকটিকে পেয়ে তাঁকে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে অভিযুক্তরা৷ প্রশ্ন তালিকায় ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নাম কী? যুবকটি অনেক ভেবে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ব্যাস! তাতেই আরও তেলেবেগুনে জ্বলে যায় ওই চার অভিযুক্ত৷ কটূবাক্যের সঙ্গে ওই যুবককে থাপ্পড় মারতে দেখা যায় তাদের৷ এরপর আবার যুবকটিতে প্রশ্ন করা হয় দেশের জাতীয় সংগীত কী? নিজের কম শিক্ষিত হওয়ার কথা স্বীকার করে নেন ওই যুবক৷ উত্তর দিতে পারেন না তিনি৷ আরও বাড়তে থাকে চার অভিযুক্তের অত্যাচার ও কটূক্তির পরিমাণ৷ আর পুরোটাই রেকর্ড করা হয় মোবাইলে৷

[পনেরো দিনে এক লক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে চার বছরের খতিয়ান শোনাবে বিজেপি]

জানা গিয়েছে, পরে ওই চার অভিযুক্ত ব্যান্ডেল স্টেশনে নেমে যায়৷ সংখ্যালঘু যুবকটি উদ্ধার করে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ নামে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ যুবককে নিয়ে কালিয়াচক থানায় যান তাঁরা৷ ওই চার অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় অভিযোগ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ এখানে একটা প্রশ্ন উঠছে, এমন তো অনেক বিষয় রয়েছে যা আমরা শিক্ষিত সমাজও জানি না৷ আর যখন যুবকটি নিজের কম শিক্ষিত হওয়ার কথা স্বীকার করেই নিয়েছেন তখন তাঁর দোষটা কোথায়?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement