ধীমান রায়, কাটোয়া: পরকীয়ায় জড়িয়ে ১৫ বছরের নাবালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়েছিল মেশোমশাই। প্রায় চারমাস পর পুণে থেকে নাবালিকার মেশোমশাইকে গ্রেপ্তার করল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ওই নাবালিকাকেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন চারেক আগে কেতুগ্রাম থানা থেকে একটি দল গিয়ে মুম্বই পুলিশের সহায়তায় পুণে থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে। তার মেসোমশাই রেজাউল শেখকে(৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে কেতুগ্রামে নিয়ে আসার পর শুক্রবার দুজনকেই আদালতে তোলা হয়। নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেন বিচারক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের খলিপুর গ্রামের বাসিন্দা ১৫ বছরের ওই নাবালিকা কুমোরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা জানিয়েছেন, গত ১০ আগষ্ট রাত প্রায় ১.৪৫ মিনিট নাগাদ তার মেয়ে বাথরুমে যাওয়ার নাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ঘরের বারান্দার গেটের চাবি খুলে বাড়ির উঠোনে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে বেড়িয়ে যাওয়ার পর ঘরে ফেরেনি। ওদিন রাত থেকেই খোঁজাখুজি শুরু করে তার পরিবার। নাবালিকার বাবা পরেরদিন বিষয়টি কেতুগ্রাম থানায় জানান। তবে পুলিশের কাছে তেমন গুরুত্ব না পেলে তিনি ফের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান। ওদিনই নাবালিকার বাবা তার ভাইরাভাই রাজখাড়া গ্রামের বাসিন্দা রেজাউলের বিরুদ্ধে মেয়েকে পাচারের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পরে ১৩ অক্টোবর কাটোয়া আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মেয়েকে উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে মামলা করেন। আদালত কেতুগ্রাম থানাকে নির্দেশ দেয় অবিলম্বে নাবালিকাকে উদ্ধারের জন্য।
[আধার কার্ডের আদলে মুদিখানার দোকানের সাইনবোর্ড! বিতর্ক তুঙ্গে]
আদালতের নির্দেশ পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুণেতে হানা দেয়। তারপর একটি ভাড়াবাড়ি থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকেও।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.