নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সাতসকালে ছাদের সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছেন এক অচেনা যুবক। চোর চোর বলে চিৎকার করে উঠেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নারায়ণ ভট্টাচার্য। আগন্তুককে ধরে ফেলেন তাঁর ছেলে ত্রিতাংশ। কিন্তু, ওই যুবকের কথা শোনার পর হতবাক পরিবারের লোকেরা। চোর, প্রেমিক না মানসিক ভারসাম্যহীন? ধন্দে এলাকাবাসীরাও। ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিউড়ি থানার পুলিশ। তিনি কেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের বাড়ি ছাদের উঠেছিলেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
[জমজমাট মহেশতলা উপনির্বাচন, কেন্দ্রীয় বহিনীর নজরদারিতে চলছে ভোটগ্রহণ]
ওই যুবকের নাম নীলকণ্ঠ পাল ওরফে রাহুল। বাড়ি মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে। পেশায় ট্রাক্টর চালক বছর সাতাশের ওই যুবক। পুলিশের অনুমান, শনিবার রাতে সিউড়িতে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নারায়ণ ভট্টাচার্যের বাড়িতে চুরি করতে এসেছিল নীলকণ্ঠ। কিন্ত, মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাড়ি ছাদের ঘুমিয়ে পড়েছিল সে। সকালে ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে ওই যুবককে দেখতে পান নারায়ণবাবুর স্ত্রী। নীলকণ্ঠ যখন সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিল, তখন চোর চোর বলে চেঁচিয়ে ওঠেন নারায়ণ ভট্টাচার্য। ওই যুবককে ধরে ফেলেন তাঁর ছেলে ত্রিতাংশু। যদিও নীলকণ্ঠ পালের দাবি, প্রেমিকার ফোন পেয়েই নাকি শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমের সিউড়িতে এসেছিল সে। রাতে আত্মগোপন করেছিল অবসরপ্রাপ্ত ওই অধ্যাপকের বাড়ির ছাদে। নীলকণ্ঠকে ছাদেই অপেক্ষা করতে বলেছিল তার প্রেমিকা। এমনকী, সুযোগ বুঝে একা এসে দেখা করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। নীলকণ্ঠ পাল জানিয়েছে, নারায়ণ ভট্টাচার্যের বাড়ির ছাদে প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়েছিল সে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই যুবকের প্রেমিকার নম্বরে ফোন করেছিলেন বা়ড়ির মালিক। কিন্তু, নীলকণ্ঠের ধরা পড়ার বৃত্তান্ত শোনার পরই অপরপ্রান্ত থেকে ফোন কেটে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদের ওই যুবককে হেফাজতে নিয়ে তদন্তে সিউড়ি থানার পুলিশ। তার প্রেমিকার সন্ধান চলছে।
ছবি: বাসুদেব ঘোষ
[অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় ১৪বার বদলি! স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন সরকারি কর্মীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.