প্রতীকী ছবি।
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ধুবুলিয়ার হোটেলে উদ্ধার যুবকের দেহ। কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা। খুন না আত্মহত্যা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, স্থানীয়দের দাবি, মৃত যুবকের একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ব্যবসায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের টাকাও নাকি ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। ফলে এই মৃত্যুর নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছেন এলাকার লোকজন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানা এলাকার সিংহহাটি এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কৃষ্ণনগরগামী (Krishnanagar) রাস্তার পাশের একটি হোটেল থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের নাম কল্লোল সরকার। বয়স আনুমানিক ৪৩ বছর। বাড়ি নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা এলাকায়। খুন না আত্মহত্যা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে, হোটেলে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। মৃতদেহ আটকে রেখে জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উন্মত্ত জনতা ভাঙচুর চালায় হোটেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
অন্যদিকে, দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এই এলাকায় পাশাপাশি দুটি হোটেলে দীর্ঘদিন ধরেই দেহ ব্যবসায়ী ও মাদক কারবারিদের অবাধ যাতায়াত চলছে। স্থানীয় থানা, পুলিশ সুপার এমনকি জেলা শাসককে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, এই হোটেলটি রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন এক কর্তার মালিকাধীন হওয়ায় খুব একটা উচ্চবাচ্য করে না পুলিশ। শুক্রবার ঘটনার পর পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের আলোচনার পর সাময়িকভাবে হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ উঠে গেলে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্লোল সরকার একাধিক ব্যবসায় অনেক টাকা লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিলেন। চড়া সুদে বাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ধারও করেছিলেন তিনি। শুধু ব্যবসায়িক ক্ষতি নয়, একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল কল্লোলের বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পরিবারের কথা মতো, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি কল্লোল। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। ইতিমধ্যে ধুবুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের তরফে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.