প্রতীকী চিত্র
সুবীর দাস, কল্যাণী: শুক্রবার সকালে জাতীয় সড়কের ধারে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য চাকদহের চন্দ্রপুরে। এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অজ্ঞাত পরিচিত ব্যক্তির ধড় থেকে মাথা আলাদা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা তড়িঘড়ি খবর দেন চাকদহ থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুন নাকি দুর্ঘটনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রমেশ সাঞ্জেলালা। বয়স আনুমানিক ৫০। বাড়ি মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। জানা যাচ্ছে রমেশ পেশায় লরি চালক। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Chakdaha State General Hospital) নিয়ে যায়। স্থানীয় এক যুবক বলেন, “আজ সকালে রাস্তার ধারে এক অজ্ঞাত পরিচিত ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখি। মাথা দেহ থেকে কিছুটা দূরে পড়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”
রমেশের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধারে মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা দেখা গিয়েছে। তিনি মহারাষ্ট্র থেকে চাকদহে এলেন কী করে? মৃত্যু বা ঘটল কী করে? চাকদহ এলাকায় কোনও পরিচিত রয়েছেন কি না সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
একাংশ মনে করছে রমেশ পেশায় লরি চালক ছিলেন। সেই সূত্রে লরি নিয়ে যাওয়ার সময় কোনও কারণবশত পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন উঠছে যদি লরি নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে গাড়টি কোথায়? তাছাড়া সাধারণত দূরপাল্লার লরিগুলোর সঙ্গে একজন সহকর্মী থাকেন। যদি রমেশ পড়ে গিয়ে থাকেন তাহলে তিনি দাঁড়ালেন না কেন? ঝুলছে একাধিক প্রশ্ন। তদন্তে চাকদহ থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.