ছবি - প্রতীকী
জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: বিয়ের সময় ৫ লক্ষ টাকা পণ (Dowry) নেওয়া হয়েছিল মেয়ের বাড়ি থেকে। সাধ মেটেনি তাতেও। বিয়ের পর স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে আরও কিছু নিয়ে আসার জন্য ক্রমাগত চাপ দেওয়া হতে থাকে। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার আন্দুলিয়া গ্রামে বধূ প্রতিবাদ করলে তাঁকে দেহ ব্যবসায় (Flesh Trade) নামানোর মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এরপর চলল মারধরও। স্বামীর অত্যাচারে জর্জরিত স্ত্রী শেষপর্যন্ত হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তা জানতে পেরেই চম্পট দেয় স্বামী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনা বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আন্দুলিয়া গ্রামের (Incident at Basirhat)। মাত্র ১ মাস আগে বকজুড়ির ভয়দা গ্রামের সদ্য যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় আন্দুলিয়ার সমীর ঘোষের। পেশায় সে কসাই। বিয়ের সময়ে ৫ লক্ষ টাকা পণ আদায় করেছিল সমীর। কিন্তু তাতেও ইচ্ছা পূরণ হয়নি। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সমীর ঘোষ স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে, তাঁর বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং তিন ভরি সোনার গয়না নিয়ে আসার জন্য। সেই প্রস্তাবে রাজি হননি নববধূ। তিনি প্রতিবাদ করে জানান, ”আমার বাবা ফুচকা বিক্রি করে রোজগার করেন। আমার বাবা এত টাকা পাবে কোথায়?”
এরপরই তাঁকে স্বামী জোর করে দেহ ব্যবসায় নামিয়েছে বলে অভিযোগ। নববধূর আরও অভিযোগ, দেহ ব্যবসার পর তাঁকে বিক্রি করার জন্য বেশ কয়েকবার কলকাতার কয়েকটি বারেও নিয়ে গিয়েছে স্বামী। শুধু এখানেই থেমে নেই। অভিযুক্ত সমীর ঘোষ প্রায় দিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করে। স্বামীর মারে জখম হয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাও চলেছে ওই গৃহবধূর। আরও অভিযোগ, বন্ধুদের থেকে মোটা টাকা নিয়ে স্ত্রীর ঘরে তাদের ঢুকিয়ে দিত স্বামী নিজেই।
স্বামীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানার (Haroa PS) দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা নববধূ। দায়ের করেছেন লিখিত অভিযোগ। সেকথা জানার স্বামী সমীর স্ত্রীকে ফোন করে বিভিন্ন ভাবে খুনের হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এর পিছনে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্ত সমীর ঘোষ পলাতক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.