ছবি : প্রতীকী
অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের জমা জলের বিপদ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবার বেলঘরিয়ায় (Belgharia) মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। সপ্তাহের শুরুতে টানা বৃষ্টি জেরে রাজ্যের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আপাতত বৃষ্টি থামলেও বহু জায়গায় জল এখনও সরেনি। ফলে জমা জলেই দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষজনকে। সেই কাজ করতে গিয়েই এবার প্রাণ খোয়াতে হল কারখানার শ্রমিককে। আর বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পর কারখানার শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান। এ নিয়ে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮।
অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও বেলঘরিয়ার টেক্সমেকো (Texmaco) কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন বছর চল্লিশের শ্রমিক সোনা রায়। কারখানা চত্বরে জমা জল সরানো যায়নি এদিনও। সেই অবস্থাতেই কাজ করতে হচ্ছিল শ্রমিকদের। আর তা করতে গিয়েই একেবারে প্রাণ হারালেন সোনা রায়। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (electrocution)হয়ে আচমকাই অচৈতন্য পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা সোনা রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এরপরই তাঁর দেহ নিয়ে কারখানায় ফিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অন্যান্য শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, জোর করে জমা জলের মধ্যেও শ্রমিকদের কাজ করানো হচ্ছে। তার জন্যই এই বিপদ হল। প্রিয়জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে কারখানায় পৌঁছে যান সোনা রায়ের পরিবারের লোকজন। তাঁরাও কারখানা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। এর আগে খড়দহ, দমদম, আগরপাড়ায় তিন শিশু-সহ মোট সাতজনের প্রাণহানি হয়েছে। এদিন সকালে সোনা রায়ের মৃত্যুতে তা বাড়ল ৮।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর আরও দু’জনের মৃত্যুর খবর পৌঁছয়। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় জল জমা মাঠে ধান কাটতে গিয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয় এবং মালদহে আরও একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। সবমিলিয়ে, জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০এ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.