সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির সুভাষপল্লি এলাকায়। ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কীভাবে পড়ে গেলেন ওই ব্যক্তি তা নিয়ে ধন্দে তদন্তকারীরা।
শিলিগুড়ি পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়র পদে কর্মরত ছিলেন সুশীল দাস নামে ওই ব্যক্তি। শনিবার সকালে নিজের নির্মীয়মাণ বাড়ির তিন তলায় ছিলেন তিনি। আচমকা একটি শব্দ শুনতে পান তাঁর বাড়িতে কর্মরত শ্রমিক ও তাঁর স্ত্রী। ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে রয়েছেন সুশীলবাবু। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুশীলবাবুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ও পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল সুশীল বাবুর? ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি? নাকি কার্নিশ থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সুশীলবাবুর, সে বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। কারণ, ঠিক যে মুহূর্তে পড়ে যান সুশীলবাবু, সেই সময় কেউ তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আদৌ অবসাবধনতাবশত পড়ে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু? নাকি আত্মঘাতী হয়েছেন সুশীলবাবু, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। মৃতের সহকারীরা জানিয়েছেন, শেষ কয়েকদিন ধরে অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন সুশীলবাবু।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে। পাশাপাশি, প্রয়োজনে দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত মৃতের স্ত্রী ও শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। তবে কী স্ত্রীর সঙ্গে কোনও রকম অশান্তি চলছিল সুশীলবাবুর? সেই কারণেই কী মানসিক অবসাদে ভূগছিলেন তিনি? তার জেরেই এই মৃত্যু? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.