অরূপ বসাক, মালবাজার: ডুয়ার্সে এখন নয়া আতঙ্ক মাশরুম। জঙ্গল থেকে আনা মাশরুম খেয়ে ফের একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল মালবাজারের সামসিং রেঞ্জে কুপাউন্ড বনবসতিতে। এই নিয়ে মাশরুম কাণ্ডে ওই বনবসতিতে মারা গেলেন ৬ জন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি আরও একজন। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত বাসিন্দারা। মৃতদের মধ্যে ৫ জনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[জঙ্গলের মাশরুম খেয়ে মৃত্যু তিনজনের, মালবাজার বনবস্তিতে চাঞ্চল্য]
পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা ডুয়ার্স। এখনকার জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে মাশরুম পাওয়া যায়। বনজ এই খাদ্যটি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। বনবসতির বাসিন্দাদের খুবই পছন্দের খাবার এই মাশরুম। জঙ্গল থেকে মাশরুম সংগ্রহ করে আনেন তাঁরা। তারপর রান্না করে খাওয়া হয়। কিন্তু, স্থানীয় বাসিন্দাদের খাদ্যভ্যাসই বিপদের কারণ হয়ে উঠেছে। জানা গিয়েছে, গত বুধবার মালবাজার ব্লকের সামসিং ফরেস্ট রেঞ্জের জঙ্গল থেকে মাশরুম নিয়ে এসেছিলেন কুম্পাউন্ড বনবসতির যুবক অন্তিম রাই। প্রতিবেশী খালি ভুজেলের বাড়িতে বেশ যত্ন করেই মাশরুমের তরকারি রান্না করা হয়েছিল। সেই তরকারি দিয়েই নৈশভোজ সারেন দুই পরিবারের সদস্যরা। এরপরই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন সাতজন। শ্যাম রাই, আশা রাই, খালি ভূজেল-সহ ৫ জন আগেই মারা গিয়েছিলেন। বুধবার অমিত রাই নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর দাদা চেতন রাই ভরতি শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে। চেতনের শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আতঙ্ক গ্রাস করেছে বসতিবাসীদের।
কিন্তু, কেন এমনটা হচ্ছে? ডুয়ার্সের আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা তেজকুমার টোপ্পো বলেন, আদিবাসী ও পাহাড়ি মানুষের চিরাচরিত খাদ্য মাশরুম। তাঁরা জানেন, কোন মাশরুম খাওয়া যায় আর কোনটা বিষাক্ত। গাছে বা গোবরে জন্মানো নয়, মাটিতে হওয়া মাশরুমই খাওয়া উচিত। মাশরুম নিয়ে নবীন প্রজন্মকে সচেতন করার দাবি তুলেছেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা তেজকুমার টোপ্পো।
[মোহর খুঁজতে মাঠে শয়ে শয়ে মানুষ, দৌলতাবাদের গ্রামে ব্যাপক শোরগোল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.